বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষা বঞ্চিত ভাকুলিয়া
ঢাকাঃ জেলার ধামরাই উপজেলার ভাকুলিয়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামের কোমলমতি শিশুরা।
জানা যায়, ভাকুলিয়ায় ১৯৯৭ সালে বেসরকারি উদ্যোগে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। টিন, কাঠ, বাঁশ দিয়ে ৫ কক্ষ বিশিষ্ট দুইটি ঘরও নির্মাণ করা হয়। এ বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় ভাকুলিয়া ধূমকেতু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে ২৬ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিবের বরাবর ৩৩ শতাংশ ভূমি দানপত্র দলিল করেও দেওয়া হয়। কিন্ত এরপরও বিদ্যালয় রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেয়নি মন্ত্রণালয়।
বিদ্যালয়টিতে ২০০২ সাল পর্যন্ত সুনামের সহিত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যান অবৈতনিক শিক্ষকগণ।
একদিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকি ও দায়িত্বে অবহেলা অন্যদিকে শিক্ষকদের সম্মানী না দেয়ার কারণে দিনে দিনে বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। এখন বিদ্যালয় থাকলেও নেই কোনো শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে পিছিয়ে পড়ছেন এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে ওই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা কার্যক্রম না চললে ও রয়েছে সেই টিনের ঘর ও সামনে রয়েছে উন্মুক্ত খেলার মাঠ। এ মাঠে বিকেলে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের খেলাধুলা করতে দেখা যায়। মাঠে খেলাধুলার চর্চা থাকলেও নেই বিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া।
এমতাবস্থায় সরকারের কাছে গ্রামবাসী দাবি জানিয়েছে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত করে আবার শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার।
এ প্রসঙ্গে চৌহাট ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ভাকুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা সারোয়ার সরকার বলেন, কোমলমতি শিশুদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে আমি , আবুল কালাম আজাদ এবং রফিজ উদ্দিন সিদ্দিকী ১৯৯৮ সালে ২৬ জুলাই ৩৩ শতাংশ ভূমি স্কুলের নামে দান করেছি।
চৌহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভীন হাসান প্রীতি বলেন, ওই গ্রামে বিদ্যালয় থাকাটা অত্যন্ত জরুরি কেননা এর আশপাশেও কোনো বিদ্যালয় নেই।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৫/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তা’য়