বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা স্তরে ২.১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী
ঢাকাঃ বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ০.৪৬ শতাংশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। আর উচ্চশিক্ষা স্তরে ২.১৮ শতাংশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। ৫২.১১ শতাংশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা সীমিত পারিবারিক আয়ের কারণে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রযুক্তি ক্রয়ে বাঁধার সম্মুখীন হয়। ৯২.৯৬ শতাংশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা তাদের উপযোগী পাঠ্য উপকরণ পায় না উপরন্তু, ৯১.৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে দক্ষ প্রশিক্ষকের অভাব রয়েছে এবং ৩৫.২১ শতাংশ মনে করে প্রযুক্তিগত বাধা রয়েছে।
ভিজুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস) কর্তৃক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘উচ্চ শিক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহারে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বাঁধা। ৫৩.৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। অন্যদিকে ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থীরা তাদের উপযোগী ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারে না।
গবেষণায় বলা হয়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উচ্চ শিক্ষায় বাঁধা দূরীকরণে শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ে সহায়ক প্রযুক্তি নির্ভর রিসোর্স সেন্টার স্থাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি সংস্থা এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন প্রয়োজন।
ভিপসের পক্ষে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অ্যাডভোকেট রেজমিন ইমরোজ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী উন্নয়নকর্মী মো. আরিফ হোসেন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষার্থী মুনতাহা ফারিন এই গবেষণাটি পরিচালনা করেন।
ভিপস-এর সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোশাররফ হোসেন মজুমদার সভাপতিত্বে অবহিত-করণ বিষয়ক টাউনহল সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (সামাজিক নিরাপত্তা) ড. মো. মোকতার হোসেন। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন ভাস্কর ভট্টাচার্য, মোহাম্মদ শাহজাহান, মো. গোলাম সারওয়ার প্রমুখ। ভিপস সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অমিত সভায় সঞ্চালনা করেন।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এম জে এফ) এর ইয়ুথ এঙ্গেজমেন্ট ইন ডেমোক্রেসি (ইয়েড) প্রকল্পের সার্বিক সহায়তায় এবং গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটিং (জি আর এম) এর কারিগরি সহায়তায় উক্ত গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২০/০৩/২০২৪