বছরজুড়ে প্রাথমিক শিক্ষায় যা ঘটলো
রাস্তায় প্রাথমিকের শিক্ষকরা
প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবিতে বছরের শুরু থেকে নানা কর্মসূচি পালন করেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। সর্বশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হলে পুলিশ তাদের তাড়িয়ে দেয়। সেখান থেকে সমাপনী বর্জন করেন শিক্ষকরা। পরে ‘দাবি মোদের একটাই, প্রধান শিক্ষকদের পরের ধাপেই বেতন চাই‘- দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় একের পর এক সভা করে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
তারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলেই তাদের কাঙ্ক্ষিত দাবি পূরণ হবে। শিক্ষক মায়ের বেতনের দাবিতে রাস্তায় সন্তানও শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে প্রধান শিক্ষকদের ১০তম ও সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হলেও তা নাকচ করে দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। পরে আবারও আলোচনার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের ১১তম ও সহকারীদের ১৩তম গ্রেড দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিলেও শিক্ষকরা তা নাকচ করে দেন। প্রধানমন্ত্রীও চান না সমাপনী থাকুক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য তুলে ধরে গত ২৪ ডিসেম্বর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পরীক্ষা নিতে নিতে শেষ করে দিচ্ছি বাচ্চাদের।
খালি পরীক্ষা আর পরীক্ষা। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে যে পিইসি পরীক্ষা নেয়া হয়, এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। তিনিও (প্রধানমন্ত্রী) এর সঙ্গে একমত। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে এ পরীক্ষা তুলে দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করা হবে। কমেছে ঝরে পড়ার হার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির দাবি, গত ১০ বছরে স্কুল শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ৪৭ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকে সভাপতি নিয়োগে যোগ্যতা নির্ণয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে স্নাতক। সভাপতি সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা জারি করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।