ফেনীর সেই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
নিউজ ডেস্ক।।
লকডাউন চলাকালে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাই স্কুলের সামনে পুলিশের সঙ্গে এক যুবকের হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালের ঘটনায় পুলিশের এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার রাতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঐ যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ।
তার সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ না করায় এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে শাস্তিমূলকভাবে ফেনী মডেল থানা থেকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার সময় তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা অপর দুই পুলিশ সদস্যের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।
সোমবার ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রিকশায় বসে থাকা এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন একাধিক পুলিশ সদস্য। লকডাউনে মাস্ক পরা ও বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচলে বাধা প্রদান করছিলেন তারা। একপর্যায়ে রিকশায় থাকা ঐ ব্যক্তি উচ্চ স্বরে পুলিশদের উদ্দেশে গালাগালি ও আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে পুলিশ সদস্যরা তাকে আঘাত করে।
এ সময় ঐ ব্যক্তিও পুলিশদের পালটা আঘাত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় একপর্যায়ে একাধিক পুলিশ সদস্য তাকে জাপটে ধরে এবং হ্যান্ডকাফ পরানোর চেষ্টা করেন। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, পুলিশের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হওয়া ঐ যুবকের নাম শহীদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং যুবলীগের সক্রিয় সদস্য।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওমর হায়দার জানান, রবিবার শহরের ট্রাংক রোডস্থ মডেল স্কুলের সামনে থেকে আটককৃত যুবক শহীদের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাকে হাজতখানায় রাখার পর চিত্কার করে সবাইকে অস্থির করে তোলে। একপর্যায়ে তার স্বজনদের ডেকে আনলে তারা মানসিক সমস্যার কথা জানায়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।