পড়াশোনা শেষে সফল উদ্যোক্তা হতে চান হুমায়ুন
ফিচার ডেস্ক :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পরিচিত নাম হুমায়ুন কবির হিমু। সবাই ডাকেন ‘হুমায়ুন ভাইয়া’ বলে। শিক্ষার্থীদের যেকোন বিপদে তিনি ছুটে আসেন সহযোগিতা করার জন্য। পড়াশোনার পাশাপাশি সাংবাদিকতা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে যুক্ত আছেন। বিনয়ী ও পরোপকারী হওয়ায় হুমায়ুন একটি প্রিয় নাম। বন্ধুরা তাকে ডাকেন ‘সাংবাদিক বন্ধু’ বলে।
হুমায়ুন কবির পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র। পড়াশোনা, সংগঠন, উপস্থাপনা, ব্যবসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি। একটি জাতীয় দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। তিনি কক্সবাজারের খরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আলহাজ ছুরত আলম একজন ব্যবসায়ী। বাবার অনুপ্রেরণায় তার স্বপ্নের পথে এগিয়ে চলা।
হুমায়ুন ইন্টেলিজেন্ট গ্রুপসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহায় শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি, ল্যাব ফি, বিভাগ উন্নয়ন ফি দিয়ে তাদের স্বপ্নপূরণে পাশে থাকেন। শুধু পড়াশোনা বা জনসেবা নয়, তার দক্ষতা দেখিয়েছেন ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও।
তিনি সবার কাছে একজন সফল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবেও পরিচিত। নৈতিকতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের একজন সফল তরুণ উদ্যোক্তা হওয়ারও ইচ্ছা ব্যক্ত করেন তিনি। ক্যারিয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিজের একটা ইন্টেলিজেন্ট গ্রুপ আছে। সেটাকে কাজে লাগিয়ে একজন দেশসেরা তরুণ উদ্যোক্তা হয়ে নিজেকে তুলে ধরতে চাই।’
২০১২ সালে তিনি ইন্টেলিজেন্ট গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। যার মূল কাজ কম খরচে শিক্ষার্থীদের জন্য ডমেস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রোডাক্ট সুলভ মূল্যে বাজারে এনেছেন। বর্তমানে সেখানে ১০০ জন কর্মরত। সেই সাথে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বিভিন্ন বিভাগে ইন্টেলিজেন্ট গ্রুপের কর্মী আছে। তার প্রতিনিধিরা শিক্ষার্থীদের ভ্রমণের সব সেবা-সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
হুমায়ুন কবির ২০০৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ ও এইচএসসি পরীক্ষায় একই বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৫০ পেয়ে কৃতকার্য হন। তারপর তিনি ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য, দপ্তর সম্পাদক, সেক্রেটারি এবং বর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে কেউ বিসিএস ক্যাডার, ব্যাংকার, শিক্ষক ও সরকারি বড় পদে চাকরি করার জন্য মনস্থির করেন। কিন্তু তিনি একজন সফল উদ্যেক্তা হতে চান। তিনি জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে বলেন, ‘আমার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের একজন সফল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হওয়া। পাশাপাশি দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলময় কিছু করতে চাই। দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’