প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের বর্তমান অবস্থান
সচিব স্যার ও মহাপরিচালক মহোদয়ের সাথে সহকারী শিক্ষক সংগঠনগুলির সকল সভাপতি ও সম্পাদকমণ্ডলীর উপস্থিতিতে গত ১৩ মে দীর্ঘ চার থেকে পাচ ঘন্টা ব্যাপী বেতন বৈষম্য নিরসন সহ শতভাগ পদোন্নতি, বিদ্যালয়ের সময়সূচি কমানো, চিত্তবিনোদন ভাতা, নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা সকল সহকারী শিক্ষক জানি।মিটিং চলাকালীন অনেকেই সেদিন লাইভ দিয়েছিল।
সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বৈষম্য নিরসনে এগারোতম গ্রেড এর যে কোন বিকল্প নেই সে বিষয়ে যথেষ্ট যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেছেন। মাননীয় সচিব এবং মহাপরিচালক মহোদয় সেদিন এটা বারবারই আশ্বস্ত করেছেন যে সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে একটা সম্মান জনক অবস্থানে নিবেন। ডিজি মহোদয় বলেছেন সচিব স্যারের উপর ভরসা রাখুন। হতাশ হবেন না।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময় এফবি সহ পত্র পত্রিকায় প্রস্তাবনার যে বিষয়টি আমরা দেখতে পাচ্ছি সেটা যদি কর্তৃপক্ষ সহকারী শিক্ষকদের জন্য সম্মানজনক বলে মনে করে থাকেন তবে সকল সহকারী শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের একজন হিসাবে এটা স্পষ্ট করে বলতে চাই এটা সহকারী শিক্ষকদের বৈষম্য নিরসন নয় বরং চিরস্থায়ী বৈষম্য তৈরি করা।
সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ কখনও সহকারী শিক্ষকদের চাওয়া ছিলনা। এর প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে তারপরও যদি কর্তৃপক্ষ চান সেক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষককে একই গ্রেডে রেখে সহকারী শিক্ষকদের এগারো তম গ্রেড প্রদান করার কোন বিকল্প নেই এবং মেনে নেয়ার কোনও সুযোগ নেই।
শাহিনুর আপার সাথে সহমত প্রকাশ করে আমিও বলছি, সকল সহকারী শিক্ষক নেতৃবৃন্দের অবস্থান সম্পর্কে সহকারী শিক্ষক ভাইবোনদের ভিন্ন চিন্তা ভাবনা করার কোনও সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। আমরা বারোতম গ্রেড মেনে নেইনি এবং নিবও না। প্রয়োজনে দাবি আদায়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবেন না নিশ্চয়ই।
সুপ্রিয় সহকর্মী ভাই ও বোনেরা, আপনারা সবাই জানেন আবেগ এবং বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া যাবেনা। সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চলছে শোকাবহ আগস্ট এবং আসছে ঈদ উল আযহা। তাই আমাদের একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ইনশআল্লাহ আমরা সকলে মিলে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ।
লেখক: বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।