প্রাথমিক শিক্ষিকাকে পেটালেন ইউপি মেম্বার
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রার্থী হবার জন্য অন্যের ছেলেকে নিজের ছেলে পরিচয়ে জাল জন্ম সনদে ভর্তি করার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় প্রধান শিক্ষিকাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য হামিদুর রহমান ফর্সা।
বৃহস্পতিবার সকালে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাজিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানা বীনা বকশীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তারিকুজ্জামান ছোটন জানান, সাজিমারা গ্রামের বাসিন্দা হামিদুর রহমান ফর্সা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে প্রার্থীতার জন্য নিজের ছেলে পরিচয় দিয়ে রাফিউল ইসলাম রাফি নামে এক শিশুকে স্কুলে ভর্তি করেন।
হামিদুর রহমানের প্রতিপক্ষরা প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানা বীনার কাছে অভিয়োগ করেন স্কুলছাত্র রাফিউল ইসলাম রাফি একই গ্রামের হাবিবুর রহমান বইতুল্লাহর ছেলে। প্রধান শিক্ষিকা আফরোজা সুলতানা বীনা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তারের কাছে এর সত্যতা জানতে চাইলে তিনি জানান, রাফিউল ইসলাম রাফির বাবার নাম হামিদুর রহমান ফর্সা নাম দিয়ে যে জন্ম সনদটি দাখিল করেছেন সেটি ভূয়া।
চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে স্কুলে একটি ভূয়া জন্ম সনদ দাখিল করা হয়েছে। স্কুলছাত্র রাফির বাবার নাম হাবিবুর রহমান বইতুল্লাহ। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক আফরোজা সুলতানা বিনার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে হামলা চালায় হামিদুর রহমান ফর্সা। প্রধান শিক্ষক আফরোজা সুলতানা বীনাকে স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে তালাবদ্ধ করে বেদম প্রহার করা হয়। বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক ও গ্রামবাসী প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অরুণা রায় জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিলক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে একজন শিক্ষিকাকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার অপরাধে হামিদুর রহমান ফর্সার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।