প্রযুক্তি এখন জরুরি সেবায় পরিনত হয়েছেঃ পলক
অনলাইন ডেস্ক।।
প্রযুক্তি নিয়ে এ পর্যন্ত গৃহীত ও বাস্তবায়িত প্রতিটি পদক্ষেপেই দেশের গণতন্ত্রায়ণ নিশ্চিত করেছে। দেশের শক্তিশালী আইসিটি অবকাঠামো ও এর সক্ষমতায় অতিমারিতে মিটিং, ভার্চুয়াল এডুকেশন, টেলিমেডিসিন ও ই-কমার্সের মতো অনেক কাজই হয়েছে অনলাইনে। প্রযুক্তি এখন জরুরি সেবায় পরিণত হয়েছে।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতিমারিতে যখন সব ধরনের সেবা কার্যক্রম ব্যহত হতে শুরু করে, তখন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও ডিজিটালি সেবা পেয়েছেন প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। প্রত্যেক নাগরিকই ইউনিয়ন, পৌর ও নগর পর্যায়ের ৮ হাজার ডিজিটাল সেন্টার থেকে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা ও ডিজিটাল সেবা পেয়েছেন। সরকারের এই সেরা উদ্ভাবনী নীতির কল্যাণে প্রান্তিক মানুষকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
অতিমারিতে ‘প্রযুক্তি’ বিলাসী থেকে জরুরি সেবায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রযুক্তি একসময় ছিলো আমাদের কাছে বিলাসী বিষয়। কিন্তু সময়ের পরিক্রমা এবং সামাজিক যোগোযোগের গতিশীল পরিবর্তনে এই ধারণা পরিবর্তিত হয়েছে। অতিমারি কোভিড ১৯ মানুষকে প্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তাকে বাড়েয়ে দিয়েছে। এই সময়ে আমরা প্রযুক্তির সর্বোত্তম দক্ষতা ও শক্তির প্রমাণ পেয়েছি। এই সময়ে সবকিছুই হয়েছে অনলাইনে।
পলক বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সামনে রেখেই রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা হিসেবে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর সেই রূপকল্পে জনগণণের ক্ষমতায়নে‘প্রযুক্তিকে’ অন্যতম টুলস হিসেবে ব্যবহার করেছে সরকার। সরকারি সেবা কার্যক্রম সহজ ও সাবলীল করতেই যুগপৎভাবেই ব্যবহৃত হয়েছে এই ডিজিটাল প্রযুক্তি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড মুহাম্মদ ফজলি এলাহি এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম শেখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিপলই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড মোহাম্মদ রুবাইয়াত তানভীর হোসেন।
এ বছর ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২১’ আয়োজনে বাংলাদেশের নয়টি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়টি দল অংশগ্রহণ করছে।