পাঠ্যপুস্তকের হিসাব অনলাইনে পাঠাতে হবে
নিউজ ডেস্ক।।
গত কয়েক বছর ধরেই শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে বই পাচ্ছে না সব শিক্ষার্থী। বিশেষ করে করোনার পর থেকে বৈশিক সঙ্কট আর দেশে গ্যাস সমস্যার কারণে পাঠ্যবই মুদ্রণে বিলম্ব হচ্ছে।
নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে মার্র্চ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিভিন্ন বইয়ের চাহিদা নিচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সম্প্রতি বইয়ের চাহিদা পাঠাতে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বরাবরে চিঠি পাঠিয়েছে বই বিতরণে নিয়োজিত সংস্থাটি।
সূত্র মতে, আগামী ২০২৫ সালের পাঠ্যবইয়ের চাহিদা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে এনসিটিবি। আগামী ১১ মার্চের মধ্যে উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিস থেকে চাহিদা দাখিল করতে হবে। আর ১৩ মার্চ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে চাহিদা অনুমোদন দিতে হবে। আর ১৮ মার্চ আঞ্চলিক উপপরিচালকরা চাহিদা অনুমোদন দেবেন। গত মঙ্গলবার কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গত ৪ মার্চ থেকে পাঠ্যবইয়ের চাহিদা দাখিল শুরু হয়েছে। নির্ধারিত দিনের মধ্যে পাঠ্যবইয়ের চাহিদা অনলাইনে ইনপুট করতে মাঠ পর্যায়ের জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ৩ মার্চ এনসিটিবি থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন স্তরের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে মাঠ পর্যায় থেকে অনলাইনে দাখিল ও অনুমোদন করে পাঠানোর জন্য সব জেলা ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।
নির্ধারিত সার্ভারে (http://13.214.189.217/) লগইন করে চাহিদা পাঠাতে হবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। অনলাইনে পাঠ্যবইয়ের চাহিদা দাখিল ও অনুমোদনের জন্য এনসিটিবির নিজস্ব ওয়েবসাইটে (http://www.nctb.gov.bd/) গিয়ে আইসিটি মেনুতে ক্লিক করতে হবে। তারপর এই মেনুর অন্তর্গত পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা গ্রহণ/বিতরণ সিস্টেম সাবমেনুতে যেতে হবে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ছাড়া অন্য কোন অফিসে বা এনসিটিবিতে হার্ড কপি অথবা অনলাইনে বা ইমেইলে চাহিদার সফটকপি পাঠানোর প্রয়োজন নেই। চাহিদা সংক্রান্ত এনসিটিবি কর্তৃক যেকোন নোটিশ/অফিস আদেশ/পত্র এনসিটিবির ওয়েবসাইটে (www.nctb.gov.bd) অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে।
কোনো অবস্থাতেই অতিরিক্ত চাহিদা পাঠানো যাবে না। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যে পরিমাণ পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা দেয়া হয়েছিল তার বিপরীতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহকৃত ও উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তকের হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে। ভর্তিকার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহকৃত পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে কী পরিমাণ পাঠ্যপুস্তক উদ্বৃত্ত রয়েছে তার হিসাব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে সংগ্রহ করতে হবে।
প্রতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভর্তিকৃত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তকের হিসাব খুব দ্রুত অনলাইনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে পাঠাতে হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/০৭/০৩/২০২৪