পরীক্ষা না দিতে পারলে আত্মহত্যা করব: প্রবেশপত্র না পাওয়া ছাত্রী
ঝালকাঠিঃ এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি)। কিন্তু একদিন আগেও প্রবেশপত্র হাতে না পেয়ে অঝোরে কাঁদছে ফারজানা নামে এক শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় পাগলপ্রায় ওই শিক্ষার্থীসহ তার পরিবার। শিক্ষার্থী ফারজানা কেঁদে কেঁদে বলে, ‘আমি পরীক্ষা না দিতে পারলে আত্মহত্যা করব। ’
জেলার রাজাপুরে কাঠিপাড়া আহমদিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ফারজানার। এ বিষয়ে ফারজানার ভাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ফারজানা ও তার পরিবার জানায়, আমাদের মাদরাসায় এবার ৬ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে শুধু ফারজানা ছাড়া বাকি পাঁচজনই প্রবেশপত্র হাতে পেয়েছে। প্রবেশপত্র না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে মাদরাসা সুপার জহিরুদ্দিন কামাল ও অফিস সহায়ক কবির ফারজানাকে বলেছেন, ‘তোমার ফরম ফিলাপের টাকা আমরা ফেরৎ দেব, নয়তো আগামী বছর তুমি পরীক্ষা দিলে তোমাকে আর কোনো টাকা দিতে হবে না। ’
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদরসায় সুপারসহ ওই প্রতিষ্ঠানে মোট ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী থাকলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ১০ থেকে ১৫ জন। এ মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার জহিরুদ্দিন কামাল মুঠোফোনে জানান, আমি এখন ঢাকায় আছি। বোর্ড থেকে সমস্যা হওয়ার কারণে ফারজানা অ্যাডমিট কার্ড পায়নি। আমি সমস্যা সমাধানের জন্য বোর্ডে এসেছি।
দায়িত্বে থাকা মাদরাসার সহ-সুপার হাবিবুর রহমান জানান, অ্যাডমিট সংক্রান্ত বিষয়ে সবকিছু সুপার ও কেরানী জানেন। আমি কিছুই জানি না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তফা আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে আমি প্রতিষ্ঠানের সুপারকে ঢাকায়বোর্ডে গিয়ে দ্রুত ফারজানা নামের ওই শিক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডের সমস্যা সমাধান করতে বলেছি। এ ব্যাপারে মাদরাসা সুপার কিংবা অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের কোনো হাত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা সুপারকে দ্রুত এই সমস্য সমাধান করার জন্য বলেছি।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৪/০২/২০২৪