পদ্মাসেতুর পিলারে ধাক্কা,আহত ১০,মাস্টার বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শাহ জালাল নামের রোরো ফেরির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় ধাক্কায় ফেরিতে থাকা অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হয়। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নৌযানটির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান।
জানা গেছে, বাংলাবাজার ঘাট থেকে যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা রোরো ফেরি শাহ জালাল নৌপথের পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সামনে আসলে স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১৭ নম্বর পিলারে সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ফেরির র্যামসহ সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় ফেরিতে দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায় থাকা যাত্রীরা ফেরির মধ্যেই পড়ে যায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাটে আসার পরপরই ফেরি থেকে যানবাহন ও যাত্রী নামানোর পর ফেরিটি ডকে মেরামতের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া এজিএম (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। শুনেছি দু/একজন আহত হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ম্যানেজার (মেরিন) আহাম্মদ আলী জানান, বিস্তারিত বলতে পারব না। ওই ফেরির মাষ্টার (চালক) বলতে পরবে। আর তার নাম্বারও দেয়া সম্ভব হচ্ছে না, কারণ বাতাস ও আলোর কারণে মোবাইলের ডিসপ্লে দেখতে পাই না।
আপর দিকে পদ্মা সেতুর প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সেতুর প্রতিটি পিলারের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ফেরি চলতে প্রয়োজন ৩০ মিটার। এর পরও কেন লেগে যায় এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি বলতে পারবে। এর আগে গত ২, ১৬ ও ২০ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে অন্যান্য ফেরি ধাক্কা লাগে। তবে পিলার যেভাবে তৈরি করা হয়েছে এ ধাক্কায় কোনো ক্ষতি হবে না। বরোজোর পিলারের পলেস্তারা উঠে যেতে পারে।
এদিকে, কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই। ঘাট স্বাভাবিক। এ রুটে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে।