স্বদেশি ক্লাব, তার ওপর পারফরম্যান্সও দারুণ। তাই তো ক্ষমতাটা কাজে লাগাতে চাচ্ছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম ওকে দিয়ারিওর খবর, হয় তিনি থাকবেন, নয় ক্লাব ছাড়বেন।

যদি তাঁকে রাখতে হয়, তাহলে তাঁর দেওয়া তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে পিএসজিকে। যার মধ্যে একটি নেইমারকে বিদায় করে দেওয়া। দ্বিতীয় শর্ত জিনেদিন জিদানকে কোচ করা আর তিন নম্বরটি হ্যারি কেইনকে কেনা। এখন দেখার বিষয় পিএসজি তাঁর দেওয়া শর্তগুলোর কতটা পূরণ করে কিংবা ফরাসি ক্লাবটি তাঁকে বুঝিয়ে-সুজিয়ে ঠিক করতে পারে কিনা।

নেইমারের সঙ্গে এমবাপ্পের রেষারেষি পুরোনো। গত মৌসুমেও ঝামেলা হয় তাঁদের মধ্যে। পাস দেওয়া নিয়ে আবার অনুশীলনে কেউ কারও মুখ দেখেন না। ড্রেসিংরুমেও গন্ডগোল। সেসব কারণে নেইমারকে এখন আর দলে দেখতে চাচ্ছেন না এমবাপ্পে। তার অভিমত, টটেনহাম থেকে হ্যারি কেইনকে আনুক পিএসজি। যদিও এ নিয়ে কিলিয়ানের সরাসরি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে কোচ গালতিয়েরকেও বরখাস্ত করতে বলেছেন এমবাপ্পে। ওকে দিয়ারিও তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটা জানিয়েছে। এমবাপ্পের পছন্দ নাকি জিদানকে। তবে ব্রাজিল আবার জিদানকে কোচ করতে চাচ্ছে। যদিও জিজুর আশা ছিল ফ্রান্সের কোচ হওয়ার। কিন্তু ফ্রান্স এবার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করে। ফাইনালে অল্পের জন্য কূল হারায়। দিদিয়ের দেশমের ওপর আস্থা রাখল ফ্রান্স।

২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাঁকে রাখে কিনা কে জানে। তেমনটা হলে জিদানের নতুন চেয়ারই খুঁজতে হবে। সেটা পিএসজি হোক আর ব্রাজিল হোক। তবে সেলেকাওদের কোচ হওয়ার দৌড়ে বেশি এগিয়ে জিদান। যেটা হলে এমবাপ্পের আশা আর পূরণ হচ্ছে না।