নিরাপদ খাদ্য, বাধ্যবাধকতায় আসছেন ব্যবসায়ীরা
নিউজ ডেস্ক।।
বাংলাদেশ অনেকাংশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তবে নিরাপদ খাদ্যের ক্ষেত্রে রয়ে গেছে অনেক পিছনে। তাই দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের বাধ্যবাধকতার আওতায় আনতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য নতুন প্রবিধানমালা তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী ‘নিরাপদ খাদ্য (খাদ্য ব্যবসায়ীর বাধ্যবাধকতা) প্রবিধানমালা- ২০২০’ প্রণয়ন করেছে। সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার গণমাধ্যমের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে দেশের ব্যবসায়ীদের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় যা যা করতে বাধ্য থাকবেন তার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রবিধানমালায়।
ওই প্রবিধানমালায় বলা হয়, খাদ্য ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্যে ব্যবহার করা রাসায়নিকের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণক সংরক্ষণ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদনের কাঁচামালের বিষয়েও তথ্য-প্রমাণক সংরক্ষণ করতে হবে। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য থাকবেন ব্যবসায়ীরা। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিতে হবে।
প্রবিধানের শর্ত পালন করতে ব্যর্থ হলে খাদ্য ব্যবসায়ীকে শাস্তি পেতে হবে বলেও ওই প্রবিধানমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আমদানি ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডসহ খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্রস্তুতকরণ, মোড়কজাতকরণ, পরিবহন, গুদামজাতকরণ, বিতরণ, প্রদর্শন ও বিপণনের সব পর্যায়ের জন্য এই প্রবিধানমালায় প্রযোজ্য হবে।
এ বিষয়ে আব্দুল কাইউম সরকার বলেন, ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ব্যবসায়ীরা কী করবেন তা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তা সংক্ষিপ্ত আকারে ছিলো। এখন প্রবিধানমালায় বিস্তারিত প্রক্রিয়া বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এগুলো মানতে বাধ্য থাকবেন। না মানলে আমাদের ফোর্স অ্যাপ্লাই করব। মূল আইনে শাস্তির বিষয়টি রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রবিধানমালার কারণে তদারকি বা এনফোর্সমেন্টের কাজ করা আরো সহজ হবে। কারণ আগে ব্যবসায়ীরা বলতেন প্রসেস জানি না, কীভাবে করবো। এখন আর তারা সেটা বলতে পারবেন না।সূত্র : জাগো নিউজ