নাটোরে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া কলেজ ছাত্র ঈমনের মরদেহ উদ্ধার
মোঃ মাহমুদুল হাসান (মুক্তা), নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ
নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায় ফেসবুকে লাইভ চলাকালে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অচেতন হয়ে তলিয়ে যায় ঈমন আলী নামের এক কলেজছাত্র। নিখোঁজের একদিন পর বুধবার বিকালে ইমনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
গত ৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঈমনের আর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার "বিডি ভিলেজ লাইভ" নামের একটি পেজে থেকে
একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ওসি নজরুল ইসলাম মৃধা জানিয়েছেন, উপজেলার হলুদঘর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে হলুদঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন বারনই নদীতে এলাকার বিভিন্ন বয়সী মানুষের সাথে নদীতে ঝাঁপ দিতে যায়। এক পর্যায়ে ঝাঁপ দেয়ার সাথে সাথেই অচেতন অবস্থায় প্রথমে ভেসে উঠে। পরে নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি নজরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার বিকালে পরিবারের সদস্যরা ইমনকে খুঁজতে খুঁজতে নদীর ধারে তার সাইকেল ও স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে কান্না শুরু করে। ঈমন পার্শ্ববর্তী রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার পঙ্গু শিশু নিকেতন সমন্বিত বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। রাজশাহীর ডুবুরি দল বুধবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
বর্ষায় নদীতে নতুন পানি আসায় বিভিন্ন বয়সী মানুষ ও শিশুরা নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছিল। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে "বিডি ভিলেজ লাইভ" নামে একটি পেজ থেকে লাইভ করছিলেন, হলুদঘর কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী সোহেল রানা।
তিনি বলেন, বিষয়টি কেউ খেয়াল করেনি,লাইভের কমেন্ট আসছিলো,কমেন্ট পড়ে আমি অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলাম,নদীর ঐদিকে তাকিয়ে ছিলাম ও দেখছিলাম,কে আবার ঝাঁপ দিবে,তার দিকে ক্যামেরা ধরবো,এ সময়টায় এই অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটেছে, বিষয়টি আমি দেখতে পাইনি, নামাজের সময় হওয়ার কারণে আমিও চলে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যায় একজনের ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি ঈমন নিখোঁজ পরে পেজে ভিডিও দেখে ঈমন ডুবে যাবার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
৭ জুলাই বুধবার বিকাল ৩ টার দিকে নলডাঙ্গা পৌরসভার পশ্চিম সোনাপাতিল এলাকা থেকে ঈমনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।