নবীজীর দৃষ্টিতে খারাপ মানুষ যারা
অনলাইন ডেস্ক।।
বাংলা ভাষায় একটি ভাবসম্প্রসারণ আছে, ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে সর্বনাশ।’ মানুষ যেহেতু সামাজিক জীব, তাদের বিভিন্ন ধরনের মানুষের সান্নিধ্যে আসতে হয়। ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির চিন্তা, বিশ্বাস প্রবণতা তার ব্যক্তিত্বে প্রভাব ফেলে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে টেলিপ্যাথি বলে। টেলিপ্যাথি হচ্ছে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির কাছে বার্তা পাঠানোর মাধ্যম, যেখানে কোনো সাধারণ মাধ্যম অথবা শরীরের বাহ্যিক অঙ্গ ব্যবহার করা হয় না। এটি সাধারণত মনের ক্ষমতা ব্যবহার করে থাকে। এটি মনের সঙ্গে মনের যোগাযোগের মাধ্যম।
যাদের অনিষ্টের ভয়ে মানুষ তাদের থেকে দূরে থাকে : আমাদের আশপাশে এমন অনেক মানুষ পাওয়া যায়, যাদের অনিষ্টের ভয়ে তাদের আত্মীয়রাও তাদের থেকে দূরে সরে থাকে। রাসুল (সা.) তাদের থেকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইল। তিনি বললেন, তাকে অনুমতি দাও। সে তার বংশের নিকৃষ্ট সন্তান। অথবা বললেন, সে তার গোত্রের ঘৃণ্যতম ভাই। যখন সে প্রবেশ করল, তখন তিনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথাবার্তা বললেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি এর ব্যাপারে যা বলার তা বলেছেন। এখন আপনি তার সঙ্গে নম্রভাবে কথা বললেন। তিনি বললেন, হে আয়েশা! আল্লাহর কাছে মর্যাদায় নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যার অশালীন ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংসর্গ বর্জন করে চলে। (বুখারি, হাদিস : ৬১৩১)
ইলম অনুযায়ী আমল না করা : আর নিকৃষ্ট পাপাচারী ব্যক্তি, যে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, কিন্তু পাপের কাজে কোনো পরোয়া করে না। (নাসায়ি, হাদিস : ৩১০৬)। মুসলমান হিসেবে আমরা সবাই কমবেশি কোরআন শিখি। হালাল-হারামের বেশির ভাগ বিষয়েই আমরা স্পষ্ট ধারণা রাখি। তবু পার্থিব স্বার্থে অনেক সময় আমরা তার তোয়াক্কা করি না। রাসুল (সা.) এমন লোকদের নিকৃষ্ট বলেছেন। তাই আমাদের নিজেদেরও এমন অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। যারা এমনটি করে, তাদের থেকে দূরে থাকা উচিত।