নতুন রুপ পাচ্ছে চিলমারী নদীবন্দর
মমিনুল ইসলাম বাবু।।
চিলমারী নদীবন্দর পুন:চালুকরণ ঘোষণার দীর্ঘ পাঁচ বছর পর নদীবন্দরে অবকাঠামো সুবিধাদি নির্মাণের অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছন চিলমারী বাসী।
গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর সভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়া হয়। ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে উপজেলার রমনা এলাকায় ২.৫ একর জায়গায় জুড়ে নির্মাণ করা হবে যাত্রীবাহী পোর্ট ও জোড়গাছ পুরাতন বাজার এলাকায় ৭.৫ একর জায়গায় জুড়ে নির্মাণ করা হবে পণ্যবাহী পোর্ট।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চিলমারী এলাকায় বছরে পরিবাহিত প্রায় ৩ দশমিক ২৫ লাখ যাত্রী ও ১ দশমিক ৫ লাখ টন মালামালের সুষ্ঠু ও নিরাপদ উঠা-নামা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি নৌ-বাণিজ্য ও অতিক্রমন প্রটোকলের আওতায় ভারতের আসাম এবং নেপাল ও ভুটানের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনে অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল চলতি বছরের জানুয়ারি হতে ২০২৩ জুন পর্যন্ত ধরা হয়েছে। এ সময়ে ৩৩ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নিরাপদ নৌ চলাচল চ্যানেল তৈরি, ২ হাজার ৪৮০ বর্গমিটার আরসিসি জেটি তৈরি, ৩৭৯ দশমিক ৮ বর্গমিটার স্টিল জেটি তৈরি করা হবে। এ ছাড়া ৭৮৫ মিটার তীর রক্ষা, এক হাজার ৩০৪ বর্গমিটার গুদাম, ৫টি পল্টুন, বন্দর ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ডরমেটরি নির্মাণ করবে বিআইডব্লিউটিএ।
নদীবন্দর এলাকার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কথা দেন তা পালন করেন চিলমারী নদীবন্দর পুন:চালুকরণ একনেক সভায় পাশ করায় এখানকার মানুষ চাকরি করে বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে বেচে পরে থাকতে পারবে।চিলমারী প্রেসক্লাবে সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু জানান,প্রাচীন এই চিলমারীকে নদী বন্দরকে পুনরায় চালু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই আমরা চাই নদীবন্দরের কাজ তারাতারি যেন সমপ্ন করা হয়।এতে করে চিলমারীর উন্নয়ন ঘটবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর চিলমারীকে নদী বন্দর হিসাবে ঘোষণা করেন এবং অন্যান্য নদী ও সমুদ্র বন্দরের সাথে একে সংযোগ করার বিষয়ে জোর দেন। সে অনুসারে ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেট প্রকাশিত হয়।
এদিকে চিলমারী নদীবন্দরে অবকাঠামো সুবিধাদি নির্মাণের অনুমোদন একনেকে পাশের পর চিলমারীতে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠন গুলো পৃথক পৃথক আনন্দ র্যালী করেছে।