নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সচিবের নির্দেশনা
নতুন তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিতে কয়েক স্তরে তথ্য যাচাই করা হবে। তাই, এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এমপিও আবেদন অনলাইনে নয়, হার্ডকপি গ্রহণ করা হবে। যাচাই করে পাওয়া তথ্য সঠিক থাকলে তলিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করা হবে। এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য যাচাইয়ে কমিটি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে যখনই এমপিওভুক্ত করা হোক না কেন শিক্ষক কর্মচারীরা চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে সরকারি কোষাগার থেকে এমপিও বাবদ বেতন পাবেন।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মো. সোহরাব হোসাইন জানান, নতুন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও জুলাই থেকে কার্যকর হবে। অক্টোবর মাসে ঘোষণা আসলেও শিক্ষকরা বকেয়া বেতন পাবেন। তিনি আরো জানান, তালিকা তৈরির সময় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আসা অনেক অসত্য তথ্য পেয়েছি। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধান কিছু কিছু অসত্য তথ্য দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে, সিনিয়র সচিব আরো জানান, যদিও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট অনেক কাগজই যাচাই করে দেখা হয়েছে। এখন এমপিওভুক্তির আগে শিক্ষক কর্মচারীদের সব কাগজও যাচাই করে দেখা হবে। শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য যাচাই করতে একটা কমিটি করা হবে। কমিটির করার জন্য খুব শিগগিরই মন্ত্রণালয় একটা সভা করবে।
মো: সোহরাব হোসাইন আরো বলেন, অনলাইনে আবেদন হলে ভুয়াদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে না। তাই তথ্য যাচাইয়ের স্বার্থে শিক্ষক কর্মচারীদের কাছ থেকে হার্ডকপিতে আবেদন নেয়া হবে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র বলেছে, অনুসন্ধানে ভুয়া একাডেমিক স্বীকৃতি ধরা পড়েছে ৪০টিরও বেশি। বাস্তবে এ সংখ্যা আরো বেশি। ছয় হাজারেরও বেশি আবেদনের এ ত্রুটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে, তালিকা ঘোষণার পরও যদি কোন অসত্য তথ্য ধরা পড়ে তাহলে বাদ পড়বে।