নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনে তদন্ত কমিটি
নিউজ ডেস্ক।।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের শিকার ওয়ালিদ নিহাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন প্রক্টর ড.উজ্জ্বল কুমার প্রধান ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তপন কুমার সরকার। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির।
ওয়ালিদ নিহাদকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর একটি আবেদন দিয়েছে। যেখানে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান অভিযুক্তরা।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের অনুসারী। অন্যদিকে রাকিব বলেন, আমার কোনো কর্মী এই ঘটনার সাথে জড়িত নেই।
রোববার ছাত্রলীগের কোরাম রাজনীতি না করায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে ১৫ জন মিলে ঘটায় এ ঘটনা।
ময়মনসিংহ মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, নির্যাতনের শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা আশংকামুক্ত হলেও তার ঘাড়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অস্বাভাবিক ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে ছাত্রলীগ না করায় ওয়ালিদ নিহাদকে নির্যাতনের ঘটনার জের ধরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীরা সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, আজ সন্ধ্যায় নজরুল ভাষ্কর্যে মোমবাতি প্রজ্বলন করবো ও আগামীকাল থেকে আমরণ অনশনে যাব।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুর ২টায় শতাধিক শিক্ষার্থী হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর ও অন্যান্য শিক্ষকরা তাদের সাথে কথা বলতে আসেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা নেই। কেন না এ ক্যাম্পাসে সব ঘটনা তদন্ত কমিটির নিচেই চাপা পড়ে যায়। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সব ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, এরইমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে যা কাজ শুরু করে দিয়েছে। তিনদিন সময়ের আগেই আমরা সকল কাজ শেষ করে ফেলবো। তোমরা আমাদের প্রতি আস্থা রাখো। উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর স্যার দেশের বাইরে আছেন। তিনি আসলেই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।