নওগাঁর মহাদেবপুর সর্বমঙ্গলা (পাইলট) উচ্চ বিদ্যালয় ঐতিহ্য ও গৌরবের শতবর্ষে পদার্পণ
মোঃ রফিকুল ইসলাম (খোকন), জেলা প্রতিনিধি, নওগাঁ।।
বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম সীমান্তের কোল ঘেঁষে অবস্হিত এবং দেশের খাদ্যভান্ডার ও সবুজ প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের নীলাভুমি হিসাবে পরিচিত নওগাঁ জেলা। এ জেলার অন্তর্গত মহাদেবপুর উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্হিত অতি প্রাচীন, মানসন্মত ও ঐতিহ্যবাহী মহাদেবপুর সর্বমঙ্গলা (পাইলট) উচ্চ বিদ্যালয়টি স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে গৌরবের একশত বর্ষে পদার্পণ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি জন্ম লগ্ন থেকেই সুগৌরবে গৌরাবান্বিত।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুঘল আমলে সম্রাট জাহাঙ্গীরেরর রাজত্বকালে ( ১৬০৫--১৬২৭) মহাদেবপুর জমিদারির উদ্ভব হয়। শীযুক্ত নয়ন চন্দ্র রায় চৌধূরী ছিলেন
এ জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর আদি নিবাস ভারতের বর্ধমানে। মুঘলদের বাংলা বিজয়ে সহযোগিতা
করার জন্য তাঁর উত্তরাধিকারী শ্রী বীরেশ্বর রায় চৌধূরী সম্রাট জাহাঙ্গীরেরর কাছ থেকে পুরস্কার স্বরুপ পরগনা জাহাঙ্গীরাবাদের জায়গির লাভ করেন। এ জায়গিরই পরবর্তী সময়ে বিশাল মহাদেবপুর জমিদারিতে পরিনত হয়। যার প্রেক্ষিতে সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামানুসারেই মহাদেবপুরের আরেক নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরপুর।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালঃ
ঐতিহাসিক ভাবে জানা যায়, তৎকালীন জমিদার বাবু শ্রীযুক্ত নরেন্দ্রনাথ রায় চৌধূরীর একমাএ পুএ বাবু শ্রীযুক্ত রায়বাহাদুর নারায়ন চন্দ্র রায় চৌধূরীর । জমিদার পুএ বড় হয়ে লক্ষ্য করেন যে, এই অঞ্চলের অনগ্রসর সাধারণ অধিবাসীদের শিক্ষা গ্রহনের অসুবিধার কথা। সি.এস খতিয়ান অনুসারে ১৮৮৯ সালের বহু পূর্বে জমিদার শ্রী রাম গোপাল রায় চৌধূরী ও শ্রী শ্যামনাথ রায় চৌধূরী ভ্রাতৃদ্বয় কর্তৃক আনুমানিক ১৮৬৫ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত ও নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হত। কিন্ত এ স্কুলটি উচ্চশিক্ষা গ্রহনে জনসাধারণের জন্য যঠেষ্ঠ ছিল না। জনসাধারণকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হিসাবে গড়ে তোলার অভিপ্রায় বাস্তবে রুপায়িত করার লক্ষ্যে জমিদার বাবু শ্রীযুক্ত রায়বাহাদুর নারায়ন চন্দ্র রায় চৌধূরী ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (মাইনর স্কুল ) 'মহাদেবপুর H.E স্কুল নামে স্বীকৃতি লাভ করে এবং পরবর্তীতে ১৯৩১ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে ' মহাদেবপুর সর্বমঙ্গলা ইনস্টিটিউট' নামে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্বীকৃতি লাভ করে। উল্লেখ্য, বাবু শ্রীযুক্ত রায়বাহাদুর নারায়ন চন্দ্র রায় চৌধূরীর নিকট আত্নীয় সর্বঙ্গলা দেবী স্বামী রাখালদাস ভাদুরী, জন্ম চব্বিশ পরগনা ভারত এর নামানুসারেই বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় সর্বঙ্গলা।
এই মাইনর স্কুলটির প্রথম উদ্বোধক হিসাবে উপস্হিত ছিলেন তৎকালীন রাজশাহী জেলার ম্যাজিস্টেট ডাঃ গ্রাহাম আই সি এস। ১৯২১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রথম স্বীকৃতি এবং পরবর্তীতে ১৯৩১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ম্যাট্রিকুলেশান স্বীকৃতি লাভের প্রেক্ষিতে চিরস্হায়ী মুঞ্জরীপ্রাপ্ত হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি গৌরবান্বিত হয়।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির মুল একাডেমিক ভবনের জমির পরিমান ৮৩ শতক। জমিদাতাগন হলেন শ্রীযুক্ত রাম গোপাল রায় চৌধূরী ও শ্রীযুক্ত শ্যামনাথ রায় চৌধূরী। প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বে ৭ একর ৬৯ শতক ( সি. এস, একোয়াল খতিয়ান) জায়গা জুড়ে বিশাল খেলার মাঠ দান করেন তদানীন্তন ভারত সম্রাট। এছাড়াও ছাএাবাসের জন্য ২৯ শতক জায়গা দান করেন প্রতিষ্ঠাতা শ্রীযুক্ত রায়বাহাদুর নারায়ন চন্দ্র রায় চৌধূরী। প্রতিষ্ঠা লগ্নের পর থেকেই একটি মুসলিম ও একটি হিন্দু ছাএাবাস আছে।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে পূর্ববাংলা জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ আইনে এ জমিদারির বিলুপ্তি ঘটার প্রেক্ষিতে যখন শিক্ষা বোর্ড সকল বেসরকারি বিদ্যালয়ে চিরস্হায়ী মঞ্জুরী প্রথা তুলে দেন তখন অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যালয়ের ন্যায় এ বিদ্যালয়টিকেও সরকার সাময়িক মঞ্জুরী দিতে আরম্ভ করে।
প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মিঃ কৌস্ত্তভ ভূষণ মুখোপাধ্যায় বি.এ দায়িত্ব কাল (১৯২১-১৯২৬ ইং), এর পর মিঃ নীল রতন বি.এ (১৯২৭-১৯৬০ইং), মোঃ আজিজার রহমান বি. এ ( ১৯৬০-১৯৬১ইং), মোঃ জসীম উদ্দীন আখন্দ বি. এ (১৯৬১-১৯৬৬ ইং) মোঃ রমজান আলী এম. এ (১৯৬৭-১৯৮৭ ইং) প্রমুখ।
বর্তমানে এ বিদ্যাপিঠের পরিচালনা পর্ষদের ৩ বার নির্বাচিত সভাপতিত্ব করছেন প্রয়াত মতিউর রহমান এর সন্তান ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুহাঃ মাহবুবুর রহমান ধলু। এবং বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন, মহাদেবপুর, নওগাঁ।
প্রজ্ঞাবান শিক্ষক মন্ডলী যাঁদের ঐকান্তিকতা,নিষ্ঠা ও জ্ঞানানুশীলন এবং দায়িত্বশীল কর্মচারীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি এদত অঞ্চলের বেসরকারি বিদ্যালয় গুলির মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষতম বিদ্যাপিঠ রুপে বহু আগেই খ্যাতি লাভ করেছে। তাঁদের জ্ঞানগর্ভ উপদেশ ও সৃজনশীলকর্মকান্ডে নওগাঁ জেলায় একটি প্রথম শ্রেণির বিদ্যালয় রুপে পরিগণিত হওয়ার সুনাম অর্জন করেছে। বর্তমানে এমপিও ভূক্ত শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জন ও কর্মচারির সংখ্যা ৪ জন। এ ছাড়াও খন্ডকালীন আরো ৮ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।
শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৩০৫ জন, ৭ ম শ্রেণিতে ৩২০ জন, ৮ ম শ্রেণিতে ৩৪৩ জন, নবম শ্রেণিতে ২২৬ জন, দশম শ্রেণিতে ২৬৭ জন, এবং চলতি বছর (২০২১ সালে) এস,এস,সি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪১ জন। ফলে প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭০২ জন। যা মাধ্যমিক পর্যায়ে নওগাঁ জেলায় সকল উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী।
২০১৯ সালের জে,এস,সি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৭৪ জন, এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৬০ জন, পাশের হার শতকরা ৯৪.৮৯। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪৫ জন।
২০১৯ সালে এস,এস,সি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২১০ জন, উত্তীর্ণ হয়েছে ২০৪ জন। পাশের হার শতকরা ৯৭.১৪ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৯ জন।
২০২০ সালে এস,এস,সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিল ২৪২ জন, পাশ করেছে ২০৬ জন। পাশের হার ৮৫.১২% এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন। সুতরাং ফলাফলের দিক থেকে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্বের আসনটি বেশ সুনামের সহিত আজও অক্ষুণ্ণ রেখেছে এ বিদ্যালয়টি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্হিত বিশাল জায়গা জুড়ে, সুন্দর মনোমুগ্ধকর ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশে গড়ে ওঠেছে প্রাচীনতম, মানসন্মত ও ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপিঠটি। দ্বিতীয়তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন প্রশাসনিকভবনসহ ২০টি শ্রেণিকক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতীয়তলা একাডেমিক ভবন রয়েছে উত্তর ও পূর্ব পার্শ্বে, আর পশ্চিমপার্শ্বে সদ্য নির্মিত হয়েছে ৪ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক একাডেমিক ভবন, যার প্রথম তলার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে। চালু আছে একাধিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুমের ব্যবস্হা, কম্পিটার ল্যাব, একাডেমিক লাইব্রেরী, তিনটি
বিজ্ঞানাগার, এবং বিশুদ্ধ পানীয়জলের ব্যবস্হাসহ আছে স্বাস্হ্যসন্মত টয়লেটেরর ব্যবস্হা। শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা ও খেলাধুলার জন্য বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ সংলগ্ন ৭ একর ৬৯ শতক বিশাল জায়গা নিয়ে নিজস্ব খেলার মাঠ আছে। এটি সর্বমঙ্গলা হাইস্কুল মাঠ নামে পরিচিত। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালে ২৫শে অক্টোবর এ ঐতিহাসিক মাঠেই নির্বাচনী ভাষণ দেন।
প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন সাহেব শিক্ষাবার্তাকে জানান, আমি গত ০১/০৯/২০১৫ ইং সালে এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করি, আমি প্রথমেই এই প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিকে শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়ন, ও সর্বাধুনিক সমৃদ্ধশালী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নিজেকে বিশেষ ভাবে আত্ননিয়োগ করি। সহকারি প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে নিষ্ঠা ও আন্তরিক ভাবে পাঠদান এবং বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে তাঁদের অংশগ্রহন ও সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে আমি সত্যিই মুগ্ধ। এ ছাড়াও উন্নয়ন মুলক কাজে বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণের সহানুভুতিশীল সহযোগিতার জন্য জানাই আমার অকুন্ঠ কৃতজ্ঞতা। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের প্রথম স্বীকৃতির (১৯২১ সালেরর ) কাগজপত্র অনেক কষ্ট করে আমি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি। এবং বিদ্যালয়ের মালিকানায় ও খতিয়ানভূক্ত জমিজমা সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল দস্তাবেজ সংগ্রহ, সংশোধন ও সংরক্ষনসহ হালনাগাদ করেছি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি জনাব মুহাঃ মাহবুবুর রহমান সাহেব শিক্ষাবার্তাকে জানান, আমি পরপর ৩য় বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে এ প্রতিষ্ঠানটিও শতবর্ষে পদার্পণ করায় আমি একজন প্রাক্তন ছাএ ও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসাবে নিজেকে গর্বিত বোধ করছি। কিন্ত করোনা কালীন মহামারি কারনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিদ্যালয়ে শতবর্ষ পালন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি আরো জানান, আমি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহন করার পর বিদ্যালয়ের মূল ফটক( মেইন গেট) নির্মানসহ সীমানা প্রাচির তৈরী ও সুসজ্জিত রংকরণ করেছি। একাডেমিক ও প্রশাসনিকভবন সংস্কারসহ রংকরণ, এবং আধুনিকায়নের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ।প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি দ্বিতল ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। টিচার্স কমন রুমের রাউন্ড টেবিলসহ স্টোররুমের ব্যবস্হাও করা হয়েছে।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার জনাব মোঃ ফরিদুল ইসলাম সাহেব শিক্ষাবার্তাকে জানান, বিদ্যালয়টি মহাদেবপুরের প্রাণকেন্দ্রে এবং আত্রাই নদীর তীরে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে অবস্হিত। সর্বোচ্চ সংখ্যক জিপিএ ৫ প্রাপ্ত এই প্রতিষ্ঠানের সকল মান দন্ড বিদ্যমান। জাতীয়করণসহ প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক সাফল্য, উন্নয়ন ও মঙ্গল কামনা করছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান সাহেব শিক্ষাবার্তাকে জানান, ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি শতবর্ষে পদার্পণ করায় আমি সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবার্তার মাধ্যমে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা। উপজেলা পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফলে শীর্ষে থাকা এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার মান অত্যন্ত সন্তোষজনক। এই প্রতিষ্ঠানের প্রচার, প্রসার ও সমৃদ্ধি কামনাসহ মাননীয় সরকারের কাছে জাতীয়করণ প্রত্যাশা করছি।
মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ মিজানুর রহমান সাহেব শিক্ষাবার্তাকে বলেন, সুপ্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জানায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অফুরন্ত শুভ কামনা । তিনি এ প্রতিষ্ঠানের সাফল্য, মঙ্গল কামনাসহ সরকারের ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করবেন বলে শিক্ষাবার্তাকে জানান ।