ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন
কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম।।
সমাজে মূল্যবোধের বড়ই অভাব। মানুষের মাঝে নৈতিক চরিত্রের সংকট চলছে। সভ্য যুগে এমন নৃশংসতা কোনভাবেই মানানসই নয়। যে সব কারণে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটছে তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। অপরাধী যেমন অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ পাবে না তেমনি তার পাশাপাশি মানুষের নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবার থেকেই মূল্যবোধের শিক্ষা শুরু করতে হবে। নৈতিক মনোবল বাড়ানোর পাশাপাশি অপরাধের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সমাজ থেকে নিন্দনীয় ও গর্হিত এসব কাজ দূরীভূত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে।
কীভাবে এসব অপরাধ থেকে মুক্ত থাকা যায় তার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। নৈতিক চরিত্রগঠন, মূল্যবোধের প্রচার, ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণ এবং সচেতনতা তৈরীর পাশাপাশি ধর্ষক ও খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিদ্যমান আইন ও বিধি বিধানকে সংস্কার করে ইতিমধ্যে ধর্ষণ ও খুনের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদন্ড’ দেয়ার বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনের বাস্তবায়নে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ন্যায় বিচার ও বিচার প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে পারলে ধর্ষক, খুনী,সন্ত্রাসী যেই হোক অপরাধ করার সাহস পাবে না। রাজনৈতিক দল এবং প্রভাবশালীদেরকে অপরাধে যুক্ত ব্যক্তিদের আশ্রয়, প্রশ্রয় দেয়া বন্ধ করতে হবে অপরাধীদের শেকড় উপড়ে ফেলতে পারলে সমাজে শান্তি ফিরে আসবে। নিজের আপনজনের কাছেও যদি মানুষ নিরাপদ না থাকে তাহলে তারা যাবে কোথায়?
মানুষের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। সমাজে মানুষের বেঁচে থাকার প্রধানতম অবলম্বন তার নিরাপত্তা যার মাধ্যমে সে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবে। এখনই থামুক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাগুলো। অপরাধীর কঠোর সাজা হোক। আমরা একটি সুখী, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই। এজন্য অন্যসব অপরাধের পাশাপাশি ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিলুপ্তি ঘটাতে হবে। মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শাস্তি হোক ধর্ষক ও খুনীর।