দেড়’শ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী কাউন্সিলর প্রার্থী
নিউজ ডেস্ক।।
পৌর নির্বাচনে সরাসরি কাউন্সিলর পদে সচরাচর কোন নারীকে খুব একটা দেখা যায় না। এ কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা রয়েছে সাধারণ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে পুরুষ এবং তিনটি ওয়ার্ডের মিলিত সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নারীরা নির্বাচন করবে। সেই ধারণা ভেঙে দিতে এবং স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে নারী পুরুষের মধ্যে সমতা নিশ্চিত করতে সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় সরাসরি ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন সুলতানা পারভীন স্বপ্না।
এর আগে পুরুষ কাউন্সিলর পদে নারীদের কখনো দেখা যায়নি এ পৌরসভায়। পৌরসভার দেড়’শ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা এটাই প্রথম।
২নং ওয়ার্ডে (সয়াধানগড়া-দিয়ার ধানগড়া) সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে উটপাখি প্রতিকে নির্বাচন করছেন সুলতানা পারভীন স্বপ্না।
ইতিমধ্যেই নিজ নির্বাচনী এলাকা ছাড়াও পুরো পৌরসভায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন সাংবাদিক নেতা সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও বিডিনিউজ, মোহনা টিভি এবং মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ইসরাইল হোসেন বাবুর সহধর্মিণী স্বপ্না। এ ওয়ার্ডে স্বপ্না ছাড়াও আরো ৭ জন পুরুষ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৪২ বছর বয়সী স্বপ্না ১৯৯৫ সাল থেকে নারী নেত্রী হিসেবে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়েছেন।
বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ঘরে ঘরে ভোট প্রার্থনা করেছেন তিনি। সেই থেকে এলাকার প্রতিটি মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে তার।
এবার নিজের জন্যই ভোট চাইতে বেড়িয়েছেন পরিশ্রমী ও উদ্যমী এই নারী। গত ৬ মাস ধরেই সুলতানা পারভীন স্বপ্না নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। তফসিল ঘোষণার আগেই প্রায় ১০টির মতো মতবিনিময় সভা ও পথসভা করেছেন। করোনাকালে এলাকার সহস্রাধিক কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। এছাড়াও অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে। এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে সর্বদাই পাশে ছিলেন স্বপ্না।
পৌর নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে তার প্রচারণা আরো বেড়েছে। বিপুল সংখ্যক নারীর পাশাপাশি পুরুষেরাও তার সমর্থনে ভোট প্রার্থনা করছেন।
১৬ জানুয়ারি পৌর নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী কাউন্সিলর প্রার্থী স্বপ্না বলেন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নারীদের আলাদা করে দেয়া হয়েছে। এতে নারী-পুরুষ সমতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। সরাসরি কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে স্থানীয় সরকারের নেতৃত্বে নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিত করার প্রথম কাজটি আমিই শুরু করলাম। আশা করি এলাকার জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে ইনশাআল্লাহ।