তিন মাস ছুটি শেষেও স্কুলে ফেরেননি প্রাথমিক শিক্ষিকা!
সুনামগঞ্জঃ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার জিংলীগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক অনুমতি ছাড়াই ২৯ দিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ওই শিক্ষকের নাম ফাহমিদা আক্তার সুমা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বিদ্যালয়ে ১৮৬ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ৫ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। কিন্তু শিক্ষকদের মধ্যে ফাহমিদা আক্তার সুমা ১ জানুয়ারি থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। কিন্তু ছুটি শেষ হলেও অদ্যাবধি কর্মস্থলে যোগদান করেননি।এমনকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথেও যোগাযোগ করেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস সুমাকে শোকজ করেছেন বলে জানালেও সুমা শোকজের চিঠি না পাওয়ার বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকেই অবগত করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক ফাহমিদা আক্তার সুমা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে ছুটি নিয়েছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বলেন, তিন মাস ছুটিতে থাকার পর ফাহমিদা আক্তার সুমা আর বিদ্যালয়ে আসেননি। তিনি কেন বিদ্যালয়ে আসছেন না সে বিষয়েও অবগত করেননি। বিষয়টি টিও স্যারকে (উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা) জানিয়েছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাকে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন ফাহমিদা আক্তার সুমার ছুটি শেষ হলেও বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, বিনা অনুমতিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।বেতনও বন্ধ করা হয়েছে।আমার কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন কথাটি সত্য নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন,এ ব্যাপারে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।