তিন বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, গণিত) প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা নেওয়া যায়
কাজী আবু মোহাম্মদ খালেদ নিজাম।।
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপুমনি জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন পিইসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি। এই পরীক্ষাটি সীমিত পরিসরে নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। সে প্রেক্ষিতে প্রাথমিক সমাপনি নিতে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একটি প্রস্তাব রাখছি।
স্কুল খোলার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন হলেও বাংলা, ইংরেজি ও গণিত এই তিন বিষয়ে পাঠদান করা হচ্ছে। এজন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, দীর্ঘদিন পরে স্কুল খোলায় সব বিষয় পড়ানোরও যৌক্তিকতা নেই। কারণ, বন্ধের দিনগুলোতে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবইয়ের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারেনি।
এখন পর্যন্ত যেহেতু বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়েই ক্লাস হচ্ছে সেহেতু এই তিনটির উপরই পরীক্ষা নেওয়া যায়। প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বর করে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করছি। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন হতে পারে নৈর্ব্যক্তিক অভিক্ষা বা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর কাঠামোতে। এতে সময় ও মূল্যায়ন সহজ হতে পারে। পাশাপাশি বাড়ির কাজ, স্কুলের ক্লাস ইত্যাদিও বিবেচনায় নেওয়া যায়।
এক ইউনিয়নে একটি পরীক্ষাকেন্দ্র না করে স্ব স্ব বিদ্যালয়ে এ পরীক্ষা নেওয়া যায়। এতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। প্রয়োজনে এক স্কুলের খাতা অন্য স্কুলের শিক্ষকদের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
সংক্ষিপ্ত একটি মূল্যায়ন হলে শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারই হয়। তৃপ্তি পাবে তারা। তাই সীমিত পরিসরে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষা নিতে আমার এই প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার আবেদন করছি। এর আগে করোনাকালে স্কুল খোলার ক্ষেত্রে একেকদিন এক এক শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব রেখেছিলাম দেশের অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায়।
সম্ভব হলে সীমিতভাবে প্রাথমিকের অন্যান্য শ্রেণিতেও বার্ষিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। উপরের সব প্রস্তাব আমার একান্ত ব্যক্তিগত। সেহেতু এই প্রস্তাবগুলো বিবেচনা নাও হতে পারে।
লেখক: শিক্ষক ও কলামিস্ট