তিন পণ্যের আমদানি বাড়ানোর পরামর্শ
নিউজ ডেস্ক।।
আসন্ন রমজান কেন্দ্র করে কারসাজি এবং সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের বাজার কেউ যেন অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য কঠোর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ভোজ্যতেল, চিনি এবং মসুর ডালের মতো তিন ভোগ্যপণ্য আমদানি বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এ তিন পণ্যের দাম কমে আসার সুযোগ নিতে হবে। এ জন্য দ্রুত এলসি খোলার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পেঁয়াজ, ছোলা এবং খেজুরের আমদানি ও মজুদ পরিস্থিতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। ওমিক্রন মোকাবিলায় বিধিনিষেধের মধ্যেও বাজারে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ জন্য সব ধরনের পণ্যবাহী যান চলাচল অবাধ রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যেও ভোগ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেলের উদ্যোগে গতকাল জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিধিনিষেধ পালনের মধ্যে যেন ভোগ্য ও নিত্যপণ্যের বাজার
পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সেই বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত আরেকটি বৈঠক হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র আভাস দিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান এ বিষয়ে আমাদের সময়কে বলেন, রমজানে যেন দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল থাকে সেজন্য তিনটি পণ্য আমদানি বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ-কালের মধ্যেই ব্যবসায়ীকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানানো হবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেল, চিনি এবং ডালের দাম বর্তমান নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের এক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। এ কারণে দ্রুত এই তিনপণ্যের আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামী এপ্রিলে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। ওই সময় যেন দেশে কোনো পণ্যের সংকট সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে এখনই আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ প্রয়োজন। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ভোজ্যতেলের মজুদ, আমদানি ও চাহিদার বিষয়টি নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। রোজা সামনে রেখে ভোজ্যতেলের আমদানি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে তা নাকচ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই ব্যবসায়ীরা লিটারপ্রতি ৫-৮ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী।
সূত্র জানিয়েছে, মূলত তিন পণ্যের বিষয়ে এ মুহূর্তে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। রোজা সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি এবং মসুর ডালের আমদানি বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে। তবে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি এখনই কার্যকর হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা তিন মাস আগে যে দামে এলসি করেছেন, সেই দাম এখন আর নেই। আন্তর্জাতিক বাজার নিম্নমুখী। এ কারণে এখনই আমদানির জন্য নতুন করে আবার এলসি করা প্রয়োজন। এতে তারা দাম কমে আসার সুযোগ নিতে পারবেন। তিনি বলেন, ছোলা, পেঁয়াজ এবং খেজুরের আমদানি ও মজুদ পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এ তিনটি পণ্য নিয়ে উদ্বেগ নেই। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।