প্রেমের টানে বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা বরগুনায় আসা দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর নাগরিক প্রেমকান্তের বিরুদ্ধে এবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে কথিত প্রেমিকার পরিবার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) তরুণীর পরিবার তালতলী থানায় এ অভিযোগ করে।
শুক্রবার রাতেই থানায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই প্রেমকান্ত তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বরিশাল নগরীতে আসেন। পুরো এক সপ্তাহ চষে বেড়ান বরিশাল নগরীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে তিনি বরিশাল থেকে সড়ক পথে বরগুনা আসেন। শুক্রবার বিকালে তিনি তালতলী উপজেলায় প্রেমিকাকে খুঁজতে আসেন। কিন্তু তার দেখা পাননি। পরে রাতে আবার বরগুনা সদরে ফেরেন প্রেমাকান্ত।
আজ ৬ আগস্ট ভারতীয় এই যুবক বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলাপের মাধ্যমেই বরগুনার এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম হয় তার। ফেসবুকের মাধ্যমে টানা তিন বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।’
প্রেমকান্তের দাবি, একনজর দেখার জন্য তামিলনাড়ু থেকে প্রথমে বরিশাল শহরে ও পরে বরগুনায় আসেন। বরিশালে আসার পর দেখাও মেলে ওই তরুণীর সঙ্গে। দেখা হওয়ার একদিন পর প্রেমকান্ত জানতে পারেন তার অজান্তেই তালতলী উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমিকার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর ওই তরুণী তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
এদিকে, তরণীর প্রেমিকের হাতে মারধরেরও শিকার হয়েছেন প্রেমাকান্ত। তাকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতেও থাকতে হয়।
তরুণীর মা মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার পরিবার শুক্রবার সন্ধ্যার পরে তালতলী থানায় ভারতীয় ওই যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গিয়েছে।
এদিকে, বিকালে তরুণীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে ছেলেটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। কিন্তু তাকে কিছু না বলেই সে বরিশালে চলে আসে। তার অনুরোধের পর আমার মেয়ে দেখাও করে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে যেভাবে আমাদের পেছনে লেগেছে-তা আমাদের হেয়প্রতিপন্ন করার নামান্তর। ছেলেটিও আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছে। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করায় প্রচলিত আইনে আমরা তার বিচার দাবি করবো।’
ওসি শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘তরুণীর পরিবার থানায় এসে অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেবো।