ঢাকা শহরেই খুন হতে পারেন বুয়েটছাত্র
নিউজ ডেস্ক।।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ। তবে তার মোবাইল ফোনের তথ্য বিশ্লেষণ এবং আনুষঙ্গিক নানা ঘটনা মিলিয়ে পুলিশের অনুমান, এই শিক্ষার্থী ঢাকা শহরের অভ্যন্তরেই খুন হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন তারা।
গতকাল শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু ডিবির পক্ষ থেকে কখনো বলিনি যে বুয়েটের ছাত্র ফারদিন ডেমরার চনপাড়ায় গিয়ে মাদকের কারণে মারা গেছেন। আবার মামলার আসামি ফারদিনের বন্ধুকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তিনিই খুন করেছেন, সেটিও কিন্তু আমরা বলছি না। আমরা পারিপার্শ্বিকতা, বিভিন্ন বিষয় বিচার-বিশ্লেষণ করছি।’
ঢাকা শহরে ফারদিন যেখানে যেখানে গেছেন তা বিভিন্ন টেকনিক্যাল মাধ্যমে খুঁজে বের করা হয়েছে বলে জানান ডিবিপ্রধান। হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তিনি ঢাকায় খুন হয়েছেন, নাকি ঢাকার বাইরেÑ সেই ব্যাপারেও নিশ্চিত নই। তবে ফারদিনের মোবাইল ফোনের ডাটা অ্যানালাইসিস ও বিভিন্ন জায়গায় তিনি যার সঙ্গে কথা বলেছেন, সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে, ঢাকা শহরের কোনো এক জায়গায় খুন হতে পারেন তিনি। মোবাইল
ফোনের লোকেশনে আমরা নারায়ণগঞ্জও পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে তদন্তের স্বার্থে কংক্রিট কিছু বলতে পারছি না।’
নিহতের বান্ধবীকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বুয়েট ছাত্রের বাবা একটি মামলা করেছেন, সেই মামলায় তার বন্ধুকে আসামি করেছেন। তাকেও আমরা গ্রেপ্তার করেছি। পাশাপাশি আমরা কিন্তু এ কথা বলছি না, তার বাবা যার নামে মামলাটি করেছেন, তিনিই এই খুনের জন্য দায়ী। মামলার এফআইআরে তার নাম এসেছে। তিনি রিমান্ডে এসেছেন। তার সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’
উল্লেখ্য, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ গত ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ওইদিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের দুদিন পর গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। এরপরই তার দুই বন্ধু বুশরা ও শীর্ষ সংশপ্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর গত বৃহস্পতিবার রামপুরার বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওইদিনই ফারদিন হত্যা মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। বুশরা রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।