ঢাকামূখী ট্রেণ যাত্রায় উপচে পড়া ভীড়
অনলাইন ডেস্ক।।
রেলের শহর হিসেবে পরিচিতি আছে রাজবাড়ীর। সেই রেলের শহর রাজবাড়ীতে ট্রেনে করে ঈদ শেষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন ঢাকামুখী মানুষ। তারা ট্রেনের ইঞ্জিনে, বগি ও ছাদে গাদাগাদি করে কর্মস্থলে ফিরছেন। রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন- অতি তাড়াতাড়ি এ রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো না গেলে ট্রেনে যাত্রীদের গাদাগাদি কমানো সম্ভব নয়।
ঢাকামুখী যাত্রী রুমন বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষে ঢাকায় কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। বাসে বেশি ভোগান্তি থাকায় ভোরে বাড়ি থেকে ট্রেনে দৌলতদিয়া ঘাটে যাচ্ছি। কিন্তু ট্রেনেও দেখছি যাত্রীদের প্রচুর ভিড়। এ রুটে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো উচিত বলে জানান তিনি।
একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করা ঢাকামুখী যাত্রী আদনান হোসেন বলেন, শনিবার ছুটি শেষ হলেও ভেবেছিলাম ট্রেনে একটু আরামে ঢাকায় যেতে পারবে, কিন্তু ট্রেনে যে পরিমাণ গাদাগাদি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ভোগান্তি নিয়ে কর্মস্থলে ছুটছেন তাতে অতি তাড়াতাড়ি ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো দরকার।
এ বিষয়ে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মেইল ট্রেনের লোকোমাস্টার মো. আব্দুস সোবহান যুগান্তরকে বলেন, আসলে রাজবাড়ীতে ট্রেনের সংখ্যা কম থাকায়, ঢাকামুখী যাত্রীরা ইঞ্জিন কিংবা বগির ছাদে চেপে বসে। একবারও তারা চিন্তা করে না ছাদের ওপর ভ্রমণটা খুব ঝুঁকির। নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা কারো কোনো কথা পাত্তা না দিয়ে ইঞ্জিন কিংবা বগির ছাদে চড়ে বসেন। একটা দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার কে নেবে বলে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।
তবে ঈদের কারণে স্বল্প ট্রেন না দিয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে যাত্রীরা এমন ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন কিংবা বগির ছাদে চড়ে বসবে না বলে জানান তিনি।