ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বেতন তুলতে না পেরে শিক্ষক কর্মচারীদের মানবেতর জীবন
নিউজ ডেস্ক।।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) নির্দেশনা অমান্য করে পদ আকড়ে আছেন রাজধানীর ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইউনুস মোল্লা। এভাবে কেটে গেছে এক বছর। এ কারণে ওই অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অগ্রণী ব্যাংক ডেমরা শাখার ব্যবস্থাপককে চিঠি দিয়েছে মাউশি। কলেজের এমপিও বাতিলের কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই চিঠিতে। এতে কলেজের ৬০ শিক্ষক-কর্মচারী মার্চ থেকে ১০ মাস বেতন-ভাতা তুলতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। অপরদিকে কলেজের এমপিও বাতিলের আতঙ্কেও দিন কাটছে তাদের।
জানা যায়, ডেমরা কলেজ অধ্যক্ষ মো. ইউনুছ মোল্লার বয়স ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো-২০১৮ এর ধারা মোতাবেক বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানপ্রধান/সহ-প্রধান/শিক্ষক কর্মচারীকে কোনো অবস্থাতেই পুনঃনিয়োগ কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে না। অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে উপাধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করবেন। উপাধ্যক্ষ না থাকলে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন। সরকারের নির্দেশনা অমান্য করলে প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ স্থগিতসহ প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইউনুছ মোল্লার চাকরির বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ওই দিনই অবসরে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি এক বছর চেয়ার আকড়ে রয়েছেন। এ বিষয়ে ইউনুস মোল্লা বলেন, আমি বর্তমানে বৈধ অবস্থায় আছি যার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমার রয়েছে। আর ডেমরা কলেজে নতুন অধ্যক্ষ না থাকায় আপদকালীন হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে এক বছরের সময় দিয়েছে- যার ৬ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এতে সময় অনুযায়ী একজন যোগ্য অধ্যক্ষের কাছে দায়িত্ব দিয়ে অব্যাহতি নিতে পারব। এ বিষয়ে জানতে কলেজ গভর্নিং বর্ডির সভাপতি আবদুল জলিলের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক ড. মনিরুজ্জামান বলেন, ইউনুছ মোল্লার বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন। শিক্ষক হিসেবে এক বছর বাড়ানো হয়েছে। অধ্যক্ষ হিসেবে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি।