ডিএসইর সূচকে বাড়ল ১১৫ পয়েন্ট
নিউজ ডেস্ক।।
মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা আসার পর মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। একদিনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকে ১১৫ পয়েন্ট যোগ হয়েছে। সূচকের বড় উত্থান হওয়ার পাশাপাশি বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে লেনদেনও। এর আগে সোমবার মার্জিন ঋণের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সূচকের সাথে সমন্বয় করে নির্ধারণ করা মার্জিন ঋণের নিয়ম বাতিল করে সবক্ষেত্রে ১ : ০.৮০ হারে মার্জিন ঋণের নতুন রেশিও নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর ফলে এখন থেকে বিনিয়োগকারীরা ১০০ টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে ৮০ টাকা মার্জিন ঋণ নিতে পারবেন। মূল্য আয় অনুপাত (পিই) ৪০-এর নিচে থাকা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট কেনার ক্ষেত্রে এ মার্জিন ঋণ পাওয়া যাবে। পিই ৪০-এর ওপর থাকা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনো মার্জিন ঋণ পাওয়া যাবে না। এর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচকের সাথে সমন্বয় করে মার্জিন ঋণের রেশিও নির্ধারণ করা ছিল। সে ক্ষেত্রে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ হাজার পয়েন্টের নিচে থাকলে বিনিয়োগকারীরা নিজস্ব বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ পেতেন ১:০.৮০ হারে। আর ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্টের ওপরে থাকলে মার্জিন ঋণ রেশিও নির্ধারণ করা হয় ১:০.৫০।
মার্জিন ঋণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা আসার পর মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সাথে সাথে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতাও বাড়ে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৫৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২১৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩০টির। আর ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৪২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৭০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৪৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের ১১৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৭৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এ ছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑ স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ফার্মা, জিনেক্স ইনফোসিস, এনআরবিসি ব্যাংক, কাট্টালী টেক্সটাইল ও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩১৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৩টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।