টিসিবির লাইনে ভিড় বাড়ছে মধ্যবিত্তদের
- নিজস্ব প্রতিবেদক।।
- আগে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) লাইনের দাঁড়িয়ে থাকত দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ; কিন্তু বর্তমানে করোনার বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। কর্মসংস্থান হারিয়েছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। আয় কমেছে অনেকের। অন্য দিকে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিসিবির লাইনে দেখা মিলছে মধ্যবিত্ত নাগরিকদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মধ্যবিত্তের আধিক্যের কারণে ভিড় বাড়ছে টিসিবির লাইনে। ট্রাকের পেছনে কোথাও কোথায় দুই শতাধিক মানুষের সিরিয়াল দেখা মিলছে।
- ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে ক্রেতাদের। টিসিবি সূত্র জানিয়েছে, করোনায় সাধারণ ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিপণন কার্যক্রম চলছে। দেশজুড়ে টিসিবির ৪৫০ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এসব ট্রাকে কেজি-প্রতি ৫৫ টাকা দরে চিনি ও ডাল ৬৫ এবং লিটার-প্রতি ১১০ টাকা দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে টিসিবির প্রতিটি ট্রাকের জন্য ৩০০-৮০০ কেজি চিনি, ৪০০-৮০০ কেজি মসুর ডাল, ৫০০-১০০০ লিটার সয়াবিন তেল, ১০০-১০০০ কেজি পেয়াজ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
- নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি দৈনিক দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল ও দুই লিটার ভোজ্যতেল, দুই থেকে পাঁচ কেজি পেয়াজ কিনতে পারেন। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই সব সামগ্রী শেষ হয়ে যায়। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে খিলগাঁও রেলগেটের পাশে ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করেন ডিলার। বেলা ২টার মধ্যেই ট্রাকে মজুদ তেল ও ডাল শেষ হয়ে যায়। পণ্য শেষ হওয়ার পরও ছিল নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন।
- ডিলার বলেন, আগে টিসিবির লাইনে নিম্নবিত্ত মানুষেরই প্রাধান্য ছিল বেশি। কিন্তু করোনার পর থেকে মধ্যবিত্তের ভিড় বাড়তে থাকে। এখন দৃশ্য এমন হয়েছে যে নিম্নবিত্তের চেয়ে মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যাই বেশি। টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে কথা হয় সুমনের সাথে। পেশায় বেসরকারি চাকরীজীবি সুমন বলেন, করোনার কারণে বেতন কমে গেছে। ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে।
- তাই টিসিবির ট্রাক থেকে কম টাকায় নিত্যপণ্য কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বিক্রয় পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতার চাহিদার তুলনায় টিসিবির ট্রাকে পণ্যের পরিমাণ কম। ফলে ভোক্তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় ডিলারদের। ডিলাররা বলছেন, লাইনে যে পরিমাণ ভিড় বাড়ছে তাতে টিসিবি ১০ গুণ পণ্য দিলেও তা মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। করোনা-পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে টিসিবি ডিলারদের পণ্যের পরিমাণ বাড়ালে ভোক্তারা উপকৃত হবে বলে মনে করেন ডিলাররা।
- টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, কোনো কোনো ট্রাকে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে যায়। আবার অনেক ট্রাকেই সারা দিন লেগে যায়। এলাকাভেদে মূলত এ রকম হয়। যেহেতু সব ডিলারকেই সমান পরিমাণ পণ্য দেয়া হয়, তাই যেখানে চাহিদা বেশি, সেখানে আলাদা করে বেশি পণ্য দেয়ার সুযোগ নেই।
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে পেজে লাইক দিয়ে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়।
সর্বশেষ
জনপ্রিয়