টিকা না নিলে বিভাগীয় মামলা
অনলাইন ডেস্ক ||
চলমান করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রমে এ পর্যন্ত সারাদেশে ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৮ জন করোনা টিকা গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৬৮ হাজার ৭১৯ জন এবং নারী ৫ লাখ হাজার ৬৪৯ জন রয়েছেন।
এদিকে করোনার টিকা না নিলে বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে নেছারাবাদ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেন।
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় কর্মরত সব শিক্ষক এবং কর্মচারীর উদ্দেশে এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আদেশে লেখা রয়েছে, নেছারাবাদ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আদেশটিতে স্বাক্ষর করেন। তাতে বলা হয়েছে, উপজেলায় স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় কর্মরত সব শিক্ষক ও কর্মচারীকে জানানো যাচ্ছে যে, দেশব্যাপী কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের কার্যক্রম চলমান। তারই প্রেক্ষিতে উপজেলার স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় কর্মরত সব শিক্ষক এবং কর্মচারীকে আবশ্যিকভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করতে হবে। এরপর একটি ছক মোতাবেক তথ্য ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।
এরপর লেখা রয়েছে, যারা নির্দেশনা সত্ত্বেও টিকা গ্রহণ করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুর নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে অনুরোধ করা হলো। আদেশের নিচের দিকে ছকে ক্রমিক, শিক্ষক-কর্মচারীর নাম, পদবি, টিকাগ্রহণ করেছেন কিনা? ও মন্তব্য লেখা কোট করা ছিল। এরপর ছকের নিচে লেখা ছিল বিষয়টি অতীব জরুরি। তারিখ দেয়া ছিল ১৩-২-২০২১।
এতে স্মারক নম্বর দেয়া রয়েছে -৩৭. ১০.৭৯৮৭.০০.১৬.৭.৯৪-৩৫(৯৯)।
এদিকে আদেশের কারণে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই এ আদেশকে এখতিয়ারবহির্ভূত উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে হয়রানির আশঙ্কা থেকে আবার কেউ কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
কলেজ শিক্ষক সমিতির নেতারা বলছেন, টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক নয়। সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়নি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কীভাবে এমন আদেশ দিলেন তা বোধগম্য নয়। তার দেয়া ওই নির্দেশনা অনতি বিলম্বে প্রত্যাহার না হলে আদালতে যাওয়ার পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের কথা জানিয়েছেন তারা।