জ্যেষ্ঠতা ক্রমে তিন নম্বরে থাকা শিক্ষক হলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ!
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রামঃ একের পর এক অনিয়ম বেরিয়ে আসছে কুড়িগ্রাম শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পরিষদের বিরুদ্ধে। জাল সনদ দিয়ে সভাপতি ও শিক্ষক নিয়োগের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর এবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগে জালিয়াতি ও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে জ্যেষ্ঠ এক শিক্ষকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। মাউশির সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩) তপন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ অধিদফতরের ওয়েবসাইটে গত ৯ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক ও কলেজের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ মাউশির চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১-এর ১৩ ধারা’ অনুযায়ী প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম জ্যেষ্ঠতা বিবেচনায় তিন নম্বর ক্রমিকে রয়েছেন। সনদ জালিয়াতির দায়ে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম টুকু ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খাজা শরীফ উদ্দিন আলী আহমেদ রিন্টুর যোগসাজশে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে আব্দুস সালামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাস থেকে আব্দুস সালাম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে আব্দুস সালামকে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মর্মে কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও ইংরেজি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. আনিছুর রহমান ২০২২ সালের ২৩ জুন মাউশির মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের সেপ্টেম্বরে অভিযোগকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তর করার জন্য কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে নির্দেশ দেয় মাউশি। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজুল ইসলাম টুকু সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করেননি। এ অবস্থায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আবারও লিখিত পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি মহাপরিচালকের নজরে আনেন শিক্ষক আনিছুর রহমান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিচালনা পরিষদের সভাপতিকে নির্দেশ দেয় মাউশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘আগে কীভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তা আমি জানি না। মাউশির চিঠি পেয়েছি। সার্বিক বিষয় যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ মাউশিতে প্রতিবেদন পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।’
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১১/০৪/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়