ছোট বোনের পরীক্ষা দিতে গিয়ে মেয়ে সেজে ধরা বড় ভাই
নিউজ ডেস্ক।।
একবার দাখিল পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর ছোট বোন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাই যদি এবারো পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন তাহলে তো ছোট বোন আবারো আত্মহত্যা করতে পারে সেই ভয়ে ছোট বোনকে এবারের দাখিল পরীক্ষায় বোনের হয়ে বোরকা পরে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বড় ভাই মোহাম্মদ ইব্রাহিম (১৯) ধরা পড়েছে হল পরিদর্শকের হাতে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদরাসার দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। এ সময় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নেওয়া হলে আদালত তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ দেন।
জানা যায়, আটক ইব্রাহিম আরবি ২য় পত্র পরীক্ষায় বোরকা পরে কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যান। কিন্তু তার চালচলন সন্দেহ হওয়ায় হলের দায়িত্বরত শিক্ষকের নজরে আসে। এ সময় কেন্দ্রের পরিদর্শক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইলিয়াস তাকে চ্যালেঞ্জ করে মাদরাসা অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে তার পরিহিত বোরকা খুলে দেখেন সে একজন ছেলে।
সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনীকে অবগত করা হলে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তার দোষ স্বীকার করায় ইব্রাহীমকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে সরাসরি পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
মাদরাসাটির কেন্দ্র পরিদর্শক ডা. মো. ইলিয়াস বলেন, মঙ্গলবার দাখিল পরীক্ষায় আরবি ২য় পত্রের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বোরকা পরিহিত এক শিক্ষার্থীকে তার বেশভূষা দেখে সন্দেহ হলে তখন আমরা ওই শিক্ষার্থীর চেহারা দেখাতে বলি।
কিন্তু সে কোনো কথার জবাব না দিয়ে চুপচাপ হয়ে বসে থাকেন এমনকি চেহারা দেখাতেও রাজি হননি। এরপর আমরা তাকে হল রুম থেকে বের করে অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে মুখ থেকে বোরকা সরিয়ে দেখা যায় সে একজন ছেলে।
এ সময় ইব্রাহিম বলেন, ছোট বোনকে পাস করাতে নিজেই পরীক্ষা কেন্দ্রে মেয়ে সেজে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। গত বছর আমার ছোট বোন দাখিল পরীক্ষায় ফেল করাই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এবারের পরীক্ষায়ও যদি সে আবারো ফেল করে তাহলে সে আত্মহত্যা করতে পারে এমন ভয়ে বোনকে বাঁচাতে অভিনবত্বের পথ বেঁচে নেন।
শিবা/জামান-২১.০২.২৪