ছাত্রীদের কুরুচিপূর্ণ মেসেজ দেওয়ায় বরখাস্ত হয়েছিল মুরাদ হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
যৌন হয়রানির অভিযোগে উত্তাল রাজধানীর স্বনামধন্য ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ছাত্রীদের সঙ্গে বিরূপ আচরণের দায়ে মুরাদ হোসেন সরকার নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাই শুধু নয়, এর আগেও কুরুচিপূর্ণ মেসেজ দেয়ার দায়ে দায়িত্বচ্যুত করা হয়েছিল আরেক শিক্ষককে। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি। সব শাখা মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার ও স্থায়ী-অস্থায়ী শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ৮৫০ জন।
মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির বিস্তর অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। এই ঘটনায় আজিমপুর শাখার গণিতের ওই শিক্ষক দু’দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে দেয়া প্রতিবেদনে তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু আন্দোলন জোরালো হলে তাকে বহিষ্কার করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এত বড় ঘটনা ঘটার পরও গভর্নিং বডির সদস্যদের নীরবতা প্রশ্ন তুলছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ বলেন, অভিভাবকরা আন্দোলনে নামার পরই তাকে অন্য শাখায় বদলির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ও শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খানম বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে কোচিংয়ের ফাঁকে শিক্ষার্থীকে অশালীন মেসেজ প্রেরণ করার দায়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ক্লাস থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যাপক পরিমাণ দলাদলি। আমরা ভিকারুননিসার ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা গভর্নিং বডি কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটি পর্যবেক্ষণ করছি। এরপর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।
শিবা/জামান