ছাত্রকে পিটিয়ে যখম, মাদরাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ফেনীঃ জেলার সোনাগাজীতে ১৩ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্র আবদুল আলিমকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগে মাদ্রাসাটির শিক্ষক নুর উদ্দিনকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নুর উদ্দিনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার পর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোনাগাজী পৌর শহর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার নুর উদ্দিন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর খোয়াজ এলাকার নুরুল আফসারের ছেলে। গত বুধবার রাতে পৌর শহরের তাকিয়া সড়কের তালিমুল কোরআন মাদ্রাসা অ্যান্ড জেনারেল এডুকেশন ইসলামিক ইনস্টিটিউটে এ ঘটনা ঘটে।
আবদুল আলিমের মা কামরুন নাহার বলেন, তাঁর স্বামী বিদেশে থাকেন। বাড়ি থেকে মাদ্রাসা দূরে হওয়ায় আলিম মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থাকত। বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে আলিমের দুই সহপাঠী শিক্ষককে না বলে ছাত্রাবাস থেকে বের হয়ে বাজারে যায়। দীর্ঘক্ষণ ফিরে না আসায় রাত ১০টার দিকে আলিম তাদের খুঁজতে বের হয়। পরে তারা তিনজন ছাত্রাবাসে ফিরে আসে। এরপর শিক্ষক নুর উদ্দিন বৈদ্যুতিক তার দিয়ে আলিমকে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। এতে আলিম অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলে বাড়িতে ফিরে বিষয়টি তাকে জানায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখায়।
তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ছেলেকে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকার চান। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাননি। পরে তিনি ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান। গতকাল রাতে থানায় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আসামি করে মামলা করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. সাইফুল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। এর ফলে এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানো হবে।