চিকিৎসা নিতে গিয়ে গণপিটুনিতে লাশ হলো সিনিয়র এএসপি
অনলাইন ডেস্কঃ
সিসি ক্যামেরার ফুটেজেই প্রমাণ মিলছে, কতটা সুচিকিৎসা পেয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম।
সোমবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর আদাবরের রিং রোডে মাইন্ড এইড হাসপাতালে তাকে নেয়া হয়েছিলো চিকিৎসার জন্য। কিন্তু ভর্তির মিনিট পনেরোর মধ্যে সব ধরনের চিকিৎসার ঊর্ধ্বে চলে গেলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বড় ভাই রেজাউল করিমের অভিযোগ, হাসপাতালের কাউন্টারে যখন তারা আনুষ্ঠানিকতা সারছিলেন, ঠিক সেই সময়ই কয়েকজন কর্মচারি আনিসুল কে বেদম মারধর করেন। যাতে অংশ নেন প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মকর্তাও। কিছুক্ষণ পর পরিবারকে জানানো হয় আনিসুল অজ্ঞান হয়ে গেছেন। সেখান থেকে দ্রুত হৃদরোগ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাইন্ড এইড হাসপাতালে মূলত মানসিক রোগি ও মাদকাসক্তদের চিকিৎসা হয়। পুরো হাসপাতালে একাধিক কলাপসেবল গেট আর সেগুলো পেরিয়ে উপরে গিয়ে দেখা যায় ভেতরের দিকে সাউন্ড প্রুফ রুম, যেখানে মারধর করা হয় আনিসুল কে। যদিও হাসপাতালের কর্মকর্তাদের দাবি ঘটনার সময় তারা কেউই উপস্থিত ছিলেন না। নিজেদের পক্ষে সাফাই গাইলেন হাসপাতালের কো অর্ডিনেটরও।
চার ভাই বোনের মধ্যে আনিসুলই ছিলেন সবার ছোট। ৩১ তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। তার বাড়ি গাজিপুরের কাপাসিয়ায়।
শিক্ষাবার্তা/ বিআ