চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না শাহাদাতের
চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করা শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন মোল্লা (২৯)। কিন্তু ইন্টারভিউ শেষে বাড়ি ফেরা হলো না তার।
সোমবার (০৩ মে) মাদারীপুরের শিবচরে কাঠাঁলবাড়ি পুরাতন ঘাটে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোট ডুবিতে যে ২৬ জন নিহত হন তাদের মধ্যে শাহাদাত একজন।
তার বাড়ি মাদারীপুরেরর শিবচর উপজেলার নিয়ামতকান্দী গ্রামে। আদম আলী মোল্লা ও রিজিয়া বেগম দম্পতির ছয় ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন শাহাদাত। তিনি এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
লাশ নিতে এসে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দোতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসে কাঁদছিলেন শাহাদাতের ভাই শহিদুল মোল্লা। তাকে সান্ত্বনা দেয়ার কেউ নেই। এসময় কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের ভেতর ঢাকা যেতে না করেছিলাম। তবুও গেছে। এখন চাকরি তো হলই না, লাশ হয়ে ফিরতে হলো তাকে।’
ঘাট কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল সাতটার দিকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে ৩১ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজারের দিকে যাচ্ছিল। বাংলাবাজার ফেরিঘাটের কাছাকাছি এলে নোঙর করা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি সজোরে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়।
খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ২৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাঁতরে তীরে উঠছেন ৫ জন। তাদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে এক নারীর মৃত্যু হয়।