চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের শ্রেণি কার্যক্রম এক মাসের জন্য বন্ধ করা হয়েছে। আজ রাত দশটার মধ্যে শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অবস্থান ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় উপাচার্য শিরীণ আখতারের ডাকা এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

জানতে চাইলে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শহীদ বলেন, 'এখনও আমাদেরকে কিছু অফিশিয়ালি জানানো হয়নি। আমরা শুধু অনলাইনে দেখেছি। অফিশিয়ালি জানানো হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।'আন্দোলন চলমান থাকবে কিনা এ বিষয়ে মোহাম্মদ শহীদ বলেন, 'আমাদের আন্দোলন নিয়ে তো কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না। আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে। পরবর্তী কর্মদিবস থেকে আমরা অনশন শুরু করব।'

গত বছরের দুই নভেম্বর থেকে শুরু হয় চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের আন্দোলন। প্রথমে বিদ্যমান ক্যাম্পাস সংস্কার ও আবাসিক হলের ব্যবস্থাসহ ২২ দাবিতে আন্দোলন করলেও পরে তারা মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। গত ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ৮২ দিন আন্দোলনের পর ক্লাস শুরু করেন। তবে শর্ত সাপেক্ষে চট্টগ্রাম নগরের ক্যাম্পাসেই ভবনের বাইরে ক্লাস করেছেন তারা। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মুহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক করেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। বৈঠকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কার, আবাসিক হলের ব্যবস্থা ও ক্যান্টিনের ব্যবস্থার এইসব দাবি পূরণ করার আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।

এই আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।  সাতদিন ক্লাস চললেও দাবি পূরণ না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে আবার ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ করে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

চবিতে চারুকলা ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সালে। ২০১০ সালে নগরের সরকারি চারুকলা কলেজের সঙ্গে এক হয়ে গঠিত হয় চারুকলা ইনস্টিটিউট। ইনস্টিটিউটের বর্তমান অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে নগরের মেহেদীবাগের বাদশা মিয়া সড়কে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫৩ জন।