ঘুসের বিনিময়ে ৭ পদে নিয়োগ দিলেন প্রধান শিক্ষক!
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোনাঃ জেলার জালশুকা-কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ ও ঘুসের বিনিময়ে ৭ পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার বিতর্কিত নিয়োগ ও পরিচালনা কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এতে বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসনাত জামান খোকন, সম্পাদক ইসলাম উদ্দীন আকন্দ, বিদ্যালয়ের দাতা সরাফ উদ্দীন সরকার, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল গফুর ও অভিভাবক সদস্য আজিজুর রহমান।
এ সময় বক্তারা বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রভাবশালীদের চাপে মোটা অঙ্কের ঘুসের বিনিময়ে পরীক্ষা নিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন। অবিলম্বে নিয়োগ বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। স্কুলের নৈশ প্রহরী আবুল কালাম বলেন, গত ৩ বছর ধরে অস্থায়ী নৈশ প্রহরী হিসাবে কাজ করছি। স্থায়ী নিয়োগের জন্য প্রথমে ১০ লাখ টাকা ও পরে ৬ লাখ টাকা দাবি করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ে শূন্যপদে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক, একজন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট, দুজন নিরাপত্তা কর্মী, একজন অফিস সহায়ক, একজন নৈশ প্রহরী ও একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরে শুক্রবার পূর্বধলার জগৎমণি উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি অভিযোগ ছিল। তার জবাব দেওয়া হয়েছে। ঘুস গ্রহণের বিষয়টি সঠিক নয়।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১১/০৩/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়