গ্রামবাসী বানিয়েছেন তাই তিনি স্কুলের সভাপতি!
ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ সরকারি নীতিমালা অনুসারে নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। এমনকি তাঁর সন্তান বা পোষ্য কেউ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীও নন। অথচ এমন একজনকেই করা হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
সভাপতির মতোই বিতর্কিত সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করায় অভিভাবকসহ স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাছিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরী রানী দেবী। গতকাল সোমবার এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশত অভিভাবক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে আবদুল কাইয়ুম নামে এক ব্যক্তিকে। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের মধ্য থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ গঠন করতে হবে। সভাপতি পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক। অথচ আবদুল কাইয়ুম এসএসসি পাস। তাঁর কোনো সন্তান বা পোষ্য এই প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখাও করে না। এ ছাড়া শিক্ষার্থী না থাকা সত্ত্বেও মাহিনুর সুলতানা ও শফিকুল ইসলাম নামে অপর দুইজনকে কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য করা হয়েছে। সরকারি প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরী রানী দেবী অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে মনগড়া পকেট কমিটি গঠন করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম জানান, তিনি এসএসসি পাস এবং তাঁর কোনো সন্তান বা পোষ্য এ স্কুলে পড়ে না। গ্রামবাসী মিলে তাঁকে সভাপতি বানিয়েছেন। এটা তাঁদের ব্যাপার।
প্রধান শিক্ষক বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে গ্রামবাসীকে সরকারি প্রজ্ঞাপনের কথা জানিয়েছি। কাইয়ুম মিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো কাগজ আমার কাছে নেই। তাঁর কোনো সন্তানও এই স্কুলে পড়ে না। মাহিনুর সুলতানা ও শফিকুল ইসলামের কোনো সন্তানও এ স্কুলে নেই। চেয়ারম্যান ও গ্রামবাসী মিলে কমিটি বানিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৩/০৬/২০২৩
দেশ বিদেশের শিক্ষা, পড়ালেখা, ক্যারিয়ার সম্পর্কিত সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, ছবি, ভিডিও প্রতিবেদন সবার আগে দেখতে চোখ রাখুন শিক্ষাবার্তায়