গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাপ্য শূণ্যপদ বঞ্চিতদের এনটিআরসিএতে স্মারকলিপি প্রদান
নিউজ ডেস্ক।।
প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রাপ্য শূণ্যপদে বঞ্চিত হবার অভিযোগে এনটিআরসিএ তে চেয়ারম্যান বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে কলেজ পর্যায়ের ১৫তম ও মেধা তালিকায় ভাল অবস্থানে থাকা অন্যান্য ব্যাচের নিয়োগ প্রত্যাশীরা।আজ দুপুর ১টায় তারা এনটিআরসিএ অফিসে গিয়ে চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে। এসময় ১৫তম ও অন্যান্য ব্যাচের কলেজ পর্যায়ের নিয়োগ প্রত্যাশীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশিত শূণপদের তালিকায় কিছু কিছু বিষয়ে কোন শূণ্যপদই নেই বলে অভিযোগ করেছে এসব প্রার্থীরা। উদাহরন হিসেবে, মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান(বিএম) ছাড়াও প্রায় সব বিষয়ের প্রভাষক পদে শুণ্যপদ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগন্য।
১৫তম নিয়োগ প্রত্যাশী শান্ত অভিযোগ করেন, “অর্থনীতি প্রভাষক ৯ টি এমপিও পদ তার মধ্যে ৬টি মহিলা কোটা বাকি ৩ টি সাধারন কৌটা অথচ ১৫তম নিবন্ধনেই টিকানো হয়েছে ৪৬জনকে। তাহলে ১৫তম সহ অন্যান্য যারা আছেন তারা কিভাবে আবেদন করবে।অন্যদিকে আমরা বিভিন্ন জেলার শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে যে শুন্যপদের চাহিদা দেওয়া হয়েছে প্রকাশিত শূণ্যপদের তালিকায় সেগুলো নেই। আমরা জানতে চাই এই পদ গেল কই।আবেদনের সুযোগও যদি দিতে না পারে তাহলে এসব উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী বেকারদের উত্তীর্ণ করলো কেন? এনটিআরসিএ এর চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনুরোধ যোগ্যতা ও মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করেবেন।
মনোবিজ্ঞান বিষয়ে কোন এমপিও শূণ্যপদ নাই অথচ ১৭জনকে ১৫তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। শূণ্যপদ না থাকলে কেনই বা তাদেরকে উত্তীর্ণ করা হলো প্রশ্ন নিবন্ধনধারীদের।
তাছাড়া হিসাববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইসলামের ইতিহাস সহ প্রায় সকল বিষয়েই ১৫তম উত্তীর্ণদের সমপরিমাণ শূণ্যপদ নেই। ফলে তারা ১৪মাস অপেক্ষা করেও আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে না।এটা অযৌক্তিক ও অন্যায়।
“রিট করেই যদি সরাসরি নিয়োগ হয়ে তাহলে গণবিজ্ঞপ্তি কেন, রিট করে আসতে বলেন। মেধা তালিকা ও নম্বর দিয়ে কি হবে। সংরক্ষিত পদের জন্য এনটিআরসিএ নতুন করে রিটকে উৎসাহ প্রদান করলো। কেউ ৪০ নম্বরে চাকরি পাবে আর কেউ ৮০ নম্বরে নিয়োগ বঞ্চিত হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। গণবিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ প্রত্যাশীরা কখনও ভাবিনি এনটিআরসিএ এরকম করবে।”- ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন ১৪তম এক নিবন্ধনধারী।
তাছাড়া এনটিআরসিএ এর প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই যদি হয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ নম্বরধারীদের নিয়োগ প্রদান করা তাহলে বর্তমান গণবিজ্ঞপ্তি ও শুণ্যপদের তথ্যমতে সেটা কিভাবে সম্ভব। কেউ ২০০০০ মেধা সিরিয়ালে অবস্থান করে সরাসরি চাকরি পাবে আবার কেউ ২০০ মেধা তালিকার মধ্যে থেকেও চাকরি তো দূরের কথা আবেদনই করতে পারছে না। যা সত্যিই হাস্যকর। এই বৈষম্যমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া একই প্রতিষ্ঠানে চলতে পারে না।
শুন্যপদের তালিকা পূর্নবিবেচনাসহ ও সংরক্ষিত পদ সমূহের যারা আবেদনে আগ্রহী নন সেই গুলো সমন্বয় করার অনুরোধ জানিয়েছে এসব অভিযোগকারী নিয়োগ প্রত্যাশীরা। তাদের দাবী রিট করে নিয়োগ পেলে সবাই রিট করবে যা একটা প্রতিষ্ঠানের জন্য সুখকর নয়। আমরা চাই এনটিআরসিএ শুণ্যপদ সমূহ পুর্নবিবেচনা করুক। বঞ্চিত ১৫তম সহ অন্যান্য ব্যাচের ভাল নম্বরধারী প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ তৈরি করুক। এসব উচ্চ শিক্ষিত বেকারদের নিয়ে আর কোন তামাশা বা অবহেলা আমরা প্রত্যাশা করি না।