নুরুল ইসলাম বলেন, ১৬ মে থেকে হিমসাগর আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ মে থেকে ল্যাংড়া এবং আগামী ১ জুন থেকে আম্রপালি জাতের আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
উত্তরের জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় বিপুল পরিমাণ আম উৎপাদিত হয়। এবারও সেখানে আমের ভালো ফলন হয়েছে।
নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২৫ মে থেকে গুটি বা স্থানীয় আম সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। গোপালভোগ ৩০ মের পর থেকে সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষীরসাপাত ও হিমসাগর আগামী ৫ জুন, নাগফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা ১২ জুন, ফজলি ২২ জুন, আম্রপালি ২৫ জুন, আশ্বিনা ও বারি আগামী ৪ জুলাই এবং গৌড়মতি ১০ জুলাই থেকে পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এ কে এম মঞ্জুরে মাওলা প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে আম সংগ্রহের নির্ধারিত সময়ের তালিকা মাঠপর্যায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার আম সংগ্রহের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়নি বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সময় বেঁধে দিলে অনেক ক্ষেত্রে অপরিপক্ব আমও পাড়া হয়। তবে ২০ মের মধ্যে গোপালভোগ, তার ৭ দিন পর ক্ষীরসাপাত, জুনের শুরুতে ফজলি এবং জুনের মাঝামাঝি আম্রপালি পাড়া যেতে পারে।
রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আগামীকাল আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করবে। এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন।