কেন সম্মানজনক শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে বিদেশে পাড়ি ?
বিগত এক বছরে চেনা জানা অনেক শিক্ষক এই পেশাকে বিদায় জানিয়েছেন। শিক্ষকতা ছেড়ে কেরানি মতো ছোট পদে চলে যাওয়ার নজির রয়েছে ।
অনেকের কাছেই প্রশ্ন ছিল
কেন ছাড়ছেন এই পেশা?
বেশির ভাগ শিক্ষকেরই একই উত্তর -
এই পেশার প্রাপ্য সম্মানী দিয়ে সম্মানজনক জীবন যাপন করা প্রায় অসম্ভব। এখানে থেকে নিজের বা পরিবারের কোনো স্বপ্নই পূরণ সম্ভব নয়।
এই ক্ষেত্রে আরো উদ্বেগজন খবর হল যে সকল শিক্ষক পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাদের অনেক শিক্ষকের শিক্ষকতা পেশায় সুখ্যাতি পেয়েছেন। অর্থাৎ তুলনামূলক যোগ্যরা পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্টৈর দিকে কিন্তু শিক্ষকদের জীবন-মান পরিবর্তন করতে হবে এ বিষয়ে কারো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান হচ্ছে না।
বরং কিভাবে শিক্ষকদের দাবীয়ে রাখা যায় পদে পদে যেন তার প্রতিযোগিতা চলছে ।
শিক্ষকতা যে আর দশটা পেশার সমান না। তা স্বীকারই করতে চাচ্ছেন না কর্তাব্যক্তিরাই।
তাদের বক্তব্য ও বিবৃতিতে এটা স্পষ্ট যে -
"বেটা চাকুরী করতে এসেছো
এখন চাকুরির জালে ফেঁসেছো!
হুকুম মানতে পারলে থাকো
নয়তো বাপু রাস্তা মাপো।"
শিক্ষকদের পরিচালনায় যতো উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আছেন, সবাই শিক্ষকদের হাত ধরেই পড়াশোনা করে এই পদে এসেছেন। অথচ কি এক অদ্ভুত নিয়মে অথবা অদৃশ্য কোন এক কারনে উনারা শিক্ষকদের বিপরীতমুখী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ইনিয়ে বিনিয়ে রাষ্ট্রকে বুঝাচ্ছেন যে উনারা যে সিদ্ধান্তই নিচ্ছেন তা রাষ্ট্রের ভালোর জন্য।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াও শিখন ঘাটতি পূরনের নামে করছেন নানা আয়োজন।
অথচ শিক্ষকদের বেলায় নেই কোন পদক্ষেপ ২০ বছর গড়িয়ে গেলেও সিকি ভাগ বোনাস পরিবর্তন হয় না। বাড়ি ভাড়া এক হাজার টাকা কারো কাছে বলাও যায় না। এসব নিয়ে কারো মাথায় কোন চিন্তা ঢুকে না।
মূল কথা হলো শুধু ইট পাথরের উন্নয়ন করে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। ভাড়া করা ইঞ্জিনিয়ারে কতদিন চলবে এদেশ? বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে কতদিন চালাবেন আপনারা এই সোনার
বাংলাদেশ ?
সেই ভাবনা কি আছে রাষ্ট্রের?
আবদুল জব্বার