কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সাকিবকে বাদ দিচ্ছে বিসিবি!
নিউজ ডেস্ক।।
সফরকারী ক্যারিবীয়দের খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই সাথে দলের জন্য তাদের নিবেদন নিয়েও সমালোচনা চলছে।
এই আলোচনার আগুনে যে ঘি ঢাললেন তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কা সফরে আসন্ন টেস্ট সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছেন তিনি। বিসিবিও ইতোমধ্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চতুর্দশতম আসরে খেলার জন্য তাকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) দিয়েছে।
তবে এই অনাপত্তি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নাকি দিয়েছে অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়েই। এবার ভবিষ্যতে ক্রিকেটারদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনে আরো কঠোর হতে যাচ্ছে দেশী ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। জানা গেছে, টেস্ট দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সাকিবকে বাদ দিতে যাচ্ছে বিসিবি।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার দুপুরেই এই সিদ্ধান্তটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে পারে তারা। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।
আসন্ন নিউ জিল্যান্ড সফরের দলে থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে দুপুরের আগেই বৈঠকে বসবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর পরই নাকি টেস্টের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সাকিবকে বাদ দেয়ার সংবাদ জানানো হবে। অবশ্য এর আগে তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিতে যাওয়া স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের পাশে থাকতে গত রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
তবে সাকিবকে চুক্তি থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বোর্ডের ভেতর দুটি মতও কাজ করছে বলে জানা গেছে। একটি পক্ষের চাওয়া, সব ধরনের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সাকিবকে বাদ দেয়ার, অপর পক্ষে চাওয়া শুধু টেস্টের চুক্তি থেকেই বাদ দেয়া।
বিষয়টির ইঙ্গিত মিলেছে প্রধান নির্বাচন মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর কথায়ও। তিনি বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে আমি মনে করি না যে তিনি (সাকিব) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকবেন। কারণ আমরা সারা বছর উভয় সংস্করণের জন্যই খেলোয়াড়দের ধরে রেখেছি।’
তবে শ্রীলঙ্কা সফরের পরিবর্তে আইপিএলে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের পরে তারা বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখছেন বলেও জানান জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী, চলতি বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আরো ১০টি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে। এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে ২টি টেস্টের পর জুলাইয়ে হবে জিম্বাবুয়ে সফর। সেখানে আরো ২টি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। এরপর আগস্টে বাংলাদেশ সফরে এসে ২টি টেস্ট খেলবে নিউ জিল্যান্ড। এরপর নভেম্বরে ২টি টেস্ট খেলতে আসবে পাকিস্তান। এরপর বছরের শেষ দিকে ফের নিউ জিল্যান্ড সফরে গিয়ে আরো ২টি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে টাইগারদের।
এদিকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য আগামীকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার নিউ জিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে উড়াল দেয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের।