কষ্টে আছেন কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা
নিউজ ডেস্ক।।
দেশের প্রায় সব কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হয়ে আসছে। সারাদেশে প্রায় ৬৫ হাজারের মতো এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে। এতে প্রায় ১২ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োজিত। এসব প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত টিউশন ফি দ্বারা পরিচালিত হয়।
কিন্তু গত ১৬ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কষ্টে আছে জানিয়ে আত্মহত্যার কথা উচ্চারণ করেছে জাতীয় কিন্ডারগার্টেন স্কুল কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ অ্যাসোসিয়েশন। আজ সোমবার (৯ নবেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩ দফা দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তারা এমন কথা উচ্চারণ করে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া জাতীয় কিন্ডারগার্টেন স্কুল কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. আহসান সিদ্দিকী বলেন, গত ১৬ মার্চ থেকে প্রায় সব প্রতিষ্ঠান কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও কলেজ আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায়।
এর ফলে এখন পর্যন্ত ৮ মাসের বাড়ি ভাড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাড়িওয়ালারাও প্রতিনিয়ত ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে শতকরা ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে এবং লাখ লাখ শিক্ষক কর্মচারী ও পরিচালক বেকার হয়ে যাবে।
সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. আহসান সিদ্দিকী বলেন, আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে যদি সরকার শিক্ষকদের দাবি না মেনে নেয় তাহলে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
তাদের ৩ দাবি হলো- বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির দুর্যোগকালীন কিন্ডারগার্টেন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পরিচালকদের উদ্যোক্তা ঘোষণার মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে, ২০২১ সালের ভর্তির সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা দিতে হবে, বার্ষিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. শরিফুল ইসলাম স্বপন, মাসুদ আখন্দ, মুক্তার আহমেদ অপু, প্রিয় শংকর বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।- জনকন্ঠ