কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল শাস্তি হিসেবে
নিউজ ডেস্ক।।
বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ টি কলেজের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো ব্যালিয়ল কলেজ। ১২৬৩ সাল থেকে এই ব্যালিয়ল কলেজ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্বানদের মিলনমেলা হিসেবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চালু আছে। কলেজটি প্রতিষ্ঠার ইতিহাস বেশ বিচিত্র। মূলত, শাস্তিস্বরূপ নির্মিত হয়েছিল এই ঐতিহ্যবাহী কলেজ।
১২৬০ সালে জন দ্য ব্যালিয়ল নামে এক ব্যক্তি এবং ডুরহামের বিশপের মাঝে কলহ ঘটে। ইংল্যান্ডের তৎকালীন রাজা তৃতীয় হেনরি এই ঘটনার বিচার করেন। বিচারের শাস্তি হিসেবে বিশপ ব্যালিয়লকে বেত্রাঘাত করেন ও প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে তাকে চ্যারিটিতে দান করার আদেশ দেন।
শাস্তি মেনে নিয়ে ব্যালিয়ল এক মহান কাজ করেন। তিনি একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে বিদ্বানদের জন্য একটি হাউজ নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে সেটি ব্যালিয়লের নামে নামকরণ করা হয়।
ব্যালিয়লের মৃত্যুর পর, ১২৬৯ সালে তার স্ত্রী এটিকে পূর্ণাঙ্গতা দেন। তিনি একটি স্থায়ী ভবন নির্মাণ করে ১২৮২ সালে এটিকে আজকে আমরা যে ব্যালিয়ল কলেজ দেখি সেই রূপে প্রতিষ্ঠা করেন।
এমন ইতিহাস যে কলেজের আছে সে কলেজ ইতিহাস পড়ানোর জন্য বিখ্যাত হবে এটিই স্বাভাবিক। গবেষণা ও ইতিহাসের জন্য খ্যাতি ছড়ানো এই কলেজের লাইব্রেরি অক্সফোর্ডের অন্য সব কলেজের থেকে সমৃদ্ধ। এই কলেজের সিলেবাস খুবই বিস্তৃত। প্রাচীণ, মধ্যযুগীয়, নব্যআধুনিক ও আধুনিক ইতিহাস নিয়ে বিস্তৃত পড়াশোনা ও গবেষণা হয় এই কলেজে।
এখানে স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার বিষয় বাছাই এর ক্ষেত্রে বিস্তর স্বাধীনতা পায়। ব্যালিয়লের ইতিহাসের শিক্ষার্থীরা গবেষণা কাজের জন্য কলেজ থেকে অর্থ সহায়তাও পেয়ে থাকে।
ব্যালিয়লের অনেক ইতিহাসবিদ তাদের কাজের জন্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। যাদের মধ্যে ক্রিস্টোফার হিল, জন কেগান, রিচার্ড কব, ক্রিস্টোফার বেইলি প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।