করোনা বাড়লেও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
করোনা বাড়লেও নতুন করে আর স্কুল-কলেজ বন্ধ করতে চায় না সরকার। তাই খুব শিগগিরই পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল সোমবার জানিয়েছেন, দেশে এখন পর্যন্ত ৭৬ শতাংশের বেশি লোকজনকে করোনার প্রথম ডোজ দেয়া সম্ভব হয়েছে; কিন্তু তার পরেও সব শিশুকে এখনো টিকার আওতায় আনা যায়নি। পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের তাই অচিরেই টিকার আওতায় আনা হবে।
তিনি জানান, আগামী (আগস্ট) মাস থেকেই এই শিশুদের টিকা দেয়া শুরু করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হয়েছে তাই আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রয়োজন নেই। অন্য দিকে দেশে যদিও করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে তারপরেও এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানা গেছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, গত দু’দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় একজন করে মারা গেছেন। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে এবার করোনা সংক্রমণ বাড়লেও বন্ধ হবে না স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কুল খোলা রেখেই মোকাবেলা করা হবে করোনা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনিও সাংবাদিকদের এমনটা জানিয়েছেন। সূত্রমতে, করোনার কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবারো করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ১০ শতাংশের উপরে রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হয়েছে তাই আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রয়োজন নেই।
এখন পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকার দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখেই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। ১২ বছরের অধিক বয়স যেসব শিক্ষার্থীর তাদের ইতোমধ্যে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। এখন আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি পাঁচ থেকে ১১ বছর অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় নেয়ার। এ দিকে দেশের বন্যা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হওয়া চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সেভাবেই রুটিন নির্ধারণ করবে।