করোনার তুলনায় ৫ গুন মৃত্যু হয় তামাকে
অনলাইন ডেস্ক।।
মহামারী করোনায় গত ২০ মাসে যতটা মৃত্যু হয়েছে, তামাকজনিত কারণে ঠিক একই সময়ে মৃত্যুহার করোনার তুলনায় পাঁচ গুণ বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে বলা হয়, বাংলাদেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ বেড়েছে এবং আর্টিক্যাল ৫.৩ এর নির্দেশনাবলী বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি। আবারাে কূটনৈতিক মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার বিষয়টি উঠে এসেছে। জাপান টোব্যাকোইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) কোম্পানির পক্ষে অর্থমন্ত্রীকে লেখা জাপানি রাষ্ট্রদূতের চিঠিতে বলা হয়েছে, জেটিআইয়ের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোন তামাকনিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ জাপানি বিনিয়ােগের (এফডিআই) পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে। অন্যদিকে, প্রতিবেদনে উঠে আসা জনস্বাস্থ্যবিরােধী আরেকটি ঘটনার সূচনা করােনা মহামারির শুরুর দিকে। ২০২০ সালের এপ্রিলে লকডাউন চলাকালীন সরকারি আদেশের মাধ্যমে দুইটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানির ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এবং জেটিআই'কে লকডাউনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। কোম্পানিগুলাে যাতে নির্বিঘ্নে সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা ক্রয় করতে পারে, সেজন্য সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়। তামাক কোম্পানিকে দেওয়া এই বিশেষ অনুমতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তুলে নেওয়ার অনুরােধ করা হলে শিল্প মন্ত্রণালয় তা নাকচ করে দেয়।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং জাতীয় তামাক বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খন্দকার, বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কীডসে'র পলিসি অ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।