ওপেনারদের লড়াইয়ে এগিয়ে সাইফ!
৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরু হবে একমাত্র টেস্ট। সেই টেস্টের জন্য বাংলাদেশ দল এখনো ঘোষণা হয়নি। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল দল ঘোষণা হতে পারে। সাধারণত এত দেরি করে টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করা কোনো দেশেই হয় না। এবার বাংলাদেশের এই বিলম্ব হওয়ার কারণ বলা হচ্ছে, ওপেনারদের ব্যাপারে মনস্থির করতে পারছেন না নির্বাচকরা।
এক প্রান্তে ৩ টেস্ট খেলা সাদমান ইসলামের খেলাটা মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে সাদমানের সঙ্গী কে হবেন? এই লড়াইয়ে আছেন ৫ জন ওপেনার। তবে কিছু ভেতরের সূত্র বলছে, আপাতত লড়াইটায় জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা তরুণ ওপেনার সাইফ হাসানই এগিয়ে আছেন।
টেস্ট দলে হয়তো তিন বা চার জন ওপেনার থাকবেন। অভিষেক ইনিংসেই ৭৬ রান করা সাদমান একরকম ‘অটো-চয়েজ’। এ ছাড়া সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের স্কোয়াডে থাকা একরকম নিশ্চিত। ওপেনিং না হলেও লোয়ার মিডল অর্ডারে এদের মধ্যে একজন অন্তত খেলে ফেলবেন। সে ক্ষেত্রে স্কোয়াডে আর একজন ওপেনারের জায়গা বাকি থাকবে। এই জায়গাটার জন্য লড়াই করবেন ইমরুল কায়েস, জহুরুল ইসলাম অমি ও সাইফ হাসান।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর থেকে মাঝে মাঝে অনিয়মিতভাবে টেস্ট খেলে আসছেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরির পর আর নিজেকে সেভাবে প্রমাণ করতে পারেননি। ফলে তামিমের বিকল্প হিসেবে তাকে ভাবাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩৭ টেস্টে ২৫.৩৭ গড়ে ১৭৭৬ রান করেছেন ইমরুল। পরিসংখ্যান খুব একটা তার পক্ষে কথা বলছে না।
২০১০ সালে অভিষিক্ত জহুরুল ইসলাম তার শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৩ সালে। এই সময়ে তিনি ৭ টেস্টে ২৬.৬৯ গড়ে ৩৪৭ রান করেছেন। পরিসংখ্যান তার পক্ষেও কথা বলবে না। কিন্তু জহুরুলের সাম্প্রতিক ফর্ম তাকে বিবেচনায় রেখেছে। বিশেষ করে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ আসরে অসাধারণ পারফরম করায় তিনি এগিয়ে গেছেন।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্সই আসলে সবার চেয়ে এগিয়ে রাখছে ২০ বছর বয়সী সাইফ হাসানকে। তিনি এবার লিগে এই টুর্নামেন্টটির ইতিহাস ভেঙে দিয়েছেন। টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮১৪ রান করেছেন সাইফ গেল মৌসুমে। এই মৌসুমে ১৬ ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৪টি ফিফটি করেছেন তিনি। এরপর এমার্জিং দলের হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে একটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি করেছেন। সবমিলিয়ে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক এই ওপেনার।
সৌম্য সরকার সম্প্রতি টেস্টে মিডল অর্ডারে নেমে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ফলে তাকে দলে রাখলেও ওপেনিংয়ে বিবেচনা না করে লোয়ার মিডল অর্ডারে বিবেচনা করা হতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে সাইফ শুধু স্কোয়াডে নন, একাদশেও ডাক পেয়ে যেতে পারেন।