এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করবে
নিউজ ডেস্ক।।
এবার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ খরচ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। বিশ্বব্যাপী কাগজের দাম বাড়ার অজুহাতে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১২০ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হবে। তাতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ লাখ হলে শুধু ফরম পূরণ বাবদই সাড়ে ২৬ কোটির টাকার বেশি আয় করবে শিক্ষা বোর্ড। তবে শিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে, কাগজের দাম বাড়ার কারণেই অতিরিক্ত এ অর্থ নেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে এবার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে প্রতি পত্রের ফি ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আগে পত্রপ্রতি ১০০ টাকা ফি নেয়া হলেও ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে সে ফি করা হয়েছে ১১০ টাকা। এসএসসিতে বিভিন্ন বিষয়ে ১২টি পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সে হিসাবে ফরম পূরণে অতিরিক্ত ১২০ টাকা গুনতে হবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে।
গতকাল রোববার এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা বোর্ড। এতে ফরম পূরণের ফি’য়ের বিস্তারিত বিবরণ দেয়া হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কাগজের দাম আকাশচুম্বী। এ ছাড়া কয়েকটি কারণে ফি বাড়ানো।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা সব বিষয়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। আইসিটি ছাড়া এসএসসির অন্যান্য বিষয়ে তিন ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। আর আইসিটি পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরে।
পরীক্ষায় অংশ নিতে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ দুইথহাজার ১৪০ টাকা ফরম পূরণের ফি আদায় করতে পারবে স্কুলগুলো। আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ২০ টাকা।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ফরম পূরণ শুরু হবে। ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ফরম পূরণ চলবে। জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণের ফি জমা দেয়া যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে ৭ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ফরম পূরণ করা যাবে। বিলম্ব ফি-সহ ফরম পূরণের ফি জমা দেয়া যাবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
পরীক্ষার ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ৩০ টাকা, অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীদের ১০০ টাকা অনুমতি বা তালিকাভুক্তি ফি দিতে হবে।